Asansol BJP Protest: অভিনব প্রতিবাদ! আঙুলে ব্যান্ডেজ বেঁধে, উল্টো দিকে হেঁটে জেলাশাসকের অফিস অভিযান বিজেপির
Asansol: সরকার চলছে উল্টো পথে। ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে। নির্বাচন কমিশন চলেছে উল্টো পথে। উল্টো পথে হয়েছে ভোট প্রক্রিয়া।
আসানসোল: চারটি পৌরসভার ভোটে লাগাতার সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ তুলেছিল বিরোধীরা। যদিও, সেই অভিযোগ ঝেড়ে ফেলে সোমবারই সবুজ ঝড় তুলেছে শাসকদল। রীতিমত পর্যদস্ত হয়ে পড়েছে বিরোধীরা। গত ১২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের দিন আসানসোলের একাধিক পুরনিগমে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর সামনে এসেছিল। এমনকী দুটি ওয়ার্ডে গুলি চলার খবরও সামনে আসে। যদিও কমিশন জানিয়ে দেয় কোথাও কোনও গুলি চলেনি। তা সত্ত্বেও আসানসোলের বিজেপি প্রার্থীরা পুনর্নির্বাচনের দাবি তুলেছিলেন। এরপর মঙ্গলবার উল্টো হেঁটে বিজেপি জেলাশাসকের অফিসে অভিযান চালায়। পুলিশ বাধা দিলে তৈরি হয় বাকবিতণ্ডা ও বচসা।
সরকার চলছে উল্টো পথে। ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে। নির্বাচন কমিশন চলেছে উল্টো পথে। উল্টো পথে হয়েছে ভোট প্রক্রিয়া। তাই উল্টো পথে হেঁটেই ভারতীয় জনতা পার্টির সদস্যরা জেলা শাসকের অফিসে চালালো অভিযান। জিতেন্দ্র তেওয়ারির নেতৃত্বে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘিরে ছড়াল উত্তেজনা। উত্তর আসানসোল জেলাশাসক অফিসের সামনে পুলিশের বাধায় আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিক্ষোভ কর্মসূচি।
সবার হাতের অনামিকা আঙুলে ছিল ব্যান্ডেজ বাঁধা। ওই আঙুলে গণতান্ত্রিক অধিকার লুঠ হয়েছে সাধারণ মানুষের। ভোটের নামে হয়েছে প্রহসন। প্রতিবাদেই জেলাশাসকের অফিসে স্মারকলিপি জমা দিল বিজেপির নেতা কর্মীরা। জিতেন্দ্র তিওয়ারি ও কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে জেলাশাসক অফিসের সামনে স্মারকলিপি জমা দিতে গেল পুলিশের সঙ্গে বচসা বাঁধে। বাকাবিতণ্ডা শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের। বিক্ষোভরত কর্মীরা বসে পড়েন রাস্তায়।
গোটা বিষয়ে জিতেন্দ্র তিওয়ারি জানান, “আজকে ডেপুটেশন জমা দিয়েছি। বুথে যেভাবে রিগিং হয়েছে, ছাপ্পা হয়েছে, প্রার্থীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে, প্রার্থীকে অপহরণ করা হয়েছে সেই নিয়েই আমরা জেলা শাসককে বলেছি আসানসোলের ভোট যেন বাতিল করা হয়। পুনর্নিবাচন করা হয়। পাশাপাশি দিন সাতেকের মধ্যেই আমরা ডকুমেন্ট্রি প্রকাশ করব। সেখানে জনগণকে দেখাব ভোটের দিন কীভাবে সন্ত্রাস চালানো হয়েছে।”
পরে বিজেপির তিনজনের এক প্রতিনিধিকে জেলাশাসকের অফিসের ভেতর ঢুকতে দেওয়া হয়।জেলাশাসককে জানিয়ে দেওয়া হয় যেভাবে ভোট লুঠ হয়েছে তার সমস্ত ভিডিও এবার জনগণের সামনে আনা হবে। ভাইরাল করা হবে সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রয়োজনে দায়িত্বে থাকা পুলিশ থেকে প্রিসাইডিং অফিসারদের বিরুদ্ধেও মামলা করা হবে আদালতে।