Cattle Smuggling Case: সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে দেহরক্ষী সহ তিনজনের নাম, ৪৯ টি জমির ডিড চাপ বাড়াচ্ছে অনুব্রত-র?
Cattle Smuggling Case: সোমবার অনুব্রত মণ্ডলকে তলব করেছে সিবিআই। নিজাম প্যালেসে না গিয়ে এসএসকেএমে গিয়েছেন তিনি। এ দিনই চার্জশিট জমা পড়ল আদালতে।
আসানসোল : গরু পাচার মামলায় সিবিআই-এর নজরে রয়েছেন বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সোমবারই এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে তাঁকে। আর এ দিনই আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে জমা পড়ল গরু পাচার মামলার সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট। সেই চার্জশিটে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের নাম থাকলেও অনুব্রত-র নাম নেই। সায়গলের সঙ্গে চার্জশিটে রয়েছে আরও দুই নাম। নাম রয়েছে বিকাশ মিশ্র ও আব্দুল লতিফের। তবে নাম না থাকলেও সিবিআই আদালতে ৪৯ টি জমির ডিড পেশ করেছেন, যা অনুব্রত-র আত্মীয়দের নামে রয়েছে বলে দাবি সিবিআই-এর।
চার্জশিটে তিন নাম
আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে এই নিয়ে পরপর তিনবার চার্জশিট জমা পড়ল। প্রথম চার্জশিটে নাম ছিল বিএসএফ কমান্ডান্ট সতীশ কুমারের, পরের চার্জশিটে নাম ছিল এনামুল হকের ও এবার পেশ হওয়া চার্জশিটে উল্লেখ করা হল তিনজনের নাম। এই তিনজনের মধ্য়ে আব্দুল লতিফকে এখনও গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। পলাতক বিনয় মিশ্রের ভাই বিকাশ মিশ্রকে কয়লা পাচার-কাণ্ডে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রায় ২ মাস আগে গ্রেফতার করা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে। বারবার আদালতে সায়গলের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন জানালেও, তা খারিজ হয়ে গিয়েছে।
অন্যদিকে আব্দুল লতিফের খোঁজ করলেও সিবিআই তাঁর হদিশ পায়নি এখনও। সিবিআই-এর আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, গরু পাচার সংক্রান্ত নথি অবৈধ থেকে বৈধ করার কাজ করতেন এই আব্দুল লতিফ।
বিপুল সম্পত্তির হদিশ
সরাসরি অনুব্রত মণ্ডলের নাম না থাকলেও চার্জশিট যে কিছুটা হলেও চাপ বাড়াচ্ছে তৃণমূল নেতার, তেমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সায়গলের ১০০ কোটির সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। এ ছাড়া ৪৯ টি জমির ডিড-এর তথ্য আদালতে পেশ করেছে সিবিআই। সিবিআই সূত্রে খবর, ওই সব সম্পত্তি রয়েছে অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর আত্মীয়দের নামে। কলকাতা ও বীরভূমে ছড়ানো রয়েছে সে সব সম্পত্তি।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই বীরভূমে অভিযান চালায় সিবিআই। যে দুই ব্যবস্য়ার বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়, তাঁরা প্রত্যেকেই অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বলে সূত্রের খবর। গরু পাচার-কাণ্ডে তাই তৃণমূল নেতার ওপর বিশেষ নজর রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।