পুলিশি হেফাজতে কীভাবে মৃত্যু বন্দির? বরাকর-কাণ্ডে তদন্তে সিআইডি

Barakar: পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন মৃতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন ছয় সদস্যের ওই বিশেষ প্রতিনিধি দল। গত ৬ জুলাই ঠিক কী হয়েছিল সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা তথ্য়ও সংগ্রহ করেন ওই তদন্তকারী অফিসাররা।

পুলিশি হেফাজতে কীভাবে মৃত্যু বন্দির? বরাকর-কাণ্ডে তদন্তে সিআইডি
সিআইডির বিশেষ প্রতিনিধি দল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 23, 2021 | 9:21 PM

পশ্চিম বর্ধমান: বরাকরে বন্দিমৃত্য়ুর ঘটনায় তদন্তে নামল সিআইডির বিশেষ প্রতিনিধি দল। শুক্রবার বিকেলে মৃত বন্দি মহম্মদ আরমান ও মনোজ শ্রীবাস্তবের বাড়িতে যান তদন্তকারীরা অফিসাররা। পুলিশ সূত্রে খবর, কলকাতার ভবানীভবন থেকে সিআইডির (CID) ওই বিশেষ দলকে নিয়োগ করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন মৃতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন ছয় সদস্যের ওই বিশেষ প্রতিনিধি দল। গত ৬ জুলাই ঠিক কী হয়েছিল সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা তথ্য়ও সংগ্রহ করেন ওই তদন্তকারী অফিসাররা। তবে তদন্ত প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে চাননি সিআইডি (CID) কর্তারা। মৃত আরমানের পরিবারের সঙ্গে কথা বলা ছাড়াও, এদিন বরাকর ফাঁড়ি ও কুলটি থানা পরিদর্শন করেন গোয়েন্দারা।

প্রসঙ্গত, গত ৬জুলাই বন্দিমৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হয়ে আসানসোলের বরাকর। অভিযোগ, চুরির ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে বাড়ি থেকে মহম্মদ আরমানকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। যেদিন আরমানকে গ্রেফতার করা হয়, খবর পাওয়া যায় পরেরদিনেই অর্থাত্‍ ৬ জুলাই মৃত্য়ু হয়েছে আরমানের। পুলিশি হেফাজতে থেকেও কী করে আরমানের মৃত্যু হল তা নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায় বরাকরে। বরাকর পুলিশ ফাঁড়িতে ভাঙচুর চালায় উন্মত্ত জনতা। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় পুলিশের গাড়িতে।   পুলিশ ফাঁড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়। ফাঁড়িতে প্রবেশের মুখে থাকা সিসিক্যামেরা গুলিও ভেঙে ফেলা হয়।

এরপরেই, সাসপেন্ড করা হয় বরাকর ফাঁড়ির ইনচার্জ ও কুলটি থানার এক এসআইকে। পরে ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আরও তিন পুলিশ অফিসারকে সাসপেন্ড ও পাঁচ সিভিক ভলেন্টিয়ারকে বরখাস্ত করা হয়। বন্দিমৃত্যুর সেই ঘটনার তদন্তের ভার শেষ পর্যন্ত যায় রাজ্য পুলিশের সিআইডির হাতে। সেই মোতাবেকই শুক্রবার বরাকরে তদন্তে আসে সিআইডি। আরও পড়ুন: ‘উত্তরবঙ্গে এইমস’, শাহি-প্রতিশ্রুতিকে ‘নাকচ’ করলেন বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ী!