Coal Scam Case: অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গলের ১০০,০০,০০,০০০ টাকার সম্পত্তি! চোখ কপালে গোয়েন্দাদের
Coal Scam Case: সিবিআই আইনজীবীদের অভিযোগ, সাইগল তদন্তে সহযোগিতা করছেন না। তিনি সাইলেন্ট বা নীরব থাকছেন। এদিন নজর থাকবে সাইগল হোসেনের বিপুল সম্পত্তির হিসেবপত্র সিজারলিস্ট হিসাবে সিবিআই জমা দেয় কিনা সেটাই এখন দেখার।
আসানসোল: ফের সিবিআই আদালতে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। সাত দিন সিবিআই হেফাজতে থাকার পর শুক্রবার আসানসোলে বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করা হয় অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে। জুন মাসের ১০ তারিখে প্রথম সাইগলকে তোলা হয়। সিবিআই সাতদিনের হেফাজতে পায় তাকে। এরপর তোলা হয় ১৭ তারিখ। ফের মেলে সাতদিনের হেফাজত। সেই মত শুক্রবার সাইগল হোসেনকে কলকাতার নিজাম প্যালেস থেকে সিবিআই আধিকারিকরা কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে রওনা দিয়ে আসানসোল সিবিআই আদালতে সাড়ে এগারোটা নাগাদ নিয়ে আসেন।
গরু পাচার মামলায় ধৃত তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের কাছে গরু পাচার মামলার অনেক তথ্য রয়েছে। এমনটাই দাবি সিবিআইয়ের। তদন্তকারীরা তাঁকে একাধিকবার নিজামের প্যালেসে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
সায়গলের বক্তব্যে, বেশ কিছু অসঙ্গতি থাকায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এছাড়াও আয় বহির্ভূত বহু সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গেছে সায়গেলের কাছ থেকে। যার মধ্যে রয়েছে কলকাতার নিউটাউন-সহ একাধিক জায়গায় একাধিক ফ্ল্যাট ও বাড়ি, বীরভূমে পেট্রল পাম্প, নগদ টাকা, সোনা ও গাড়ি।
সিবিআই সূত্রে খবর, সায়গল ও ঘনিষ্ঠজনদের নামে নিউটাউন, রাজারহাট, লেকটাউন বোলপুর এলাকায় ৬ টির বেশি ফ্ল্যাট, ৫০ টির মত জমির ডিড, দেওচা পাচামিতে একাধিক ক্র্যাশার মেশিন ও ডাম্পার, নগদ দু’কোটি টাকা মিলিয়ে মোট ১০০ কোটির মত সম্পত্তির হদিশ মিলেছে।
যদিও সিজারলিস্টে এসব দেওয়া হয়নি বিচারককে। শুধুমাত্র দস্তাবেজ হিসাবে পেশ করা হয়। এই সমস্ত দস্তাবেজ ভেরিফিকেশন বা পরীক্ষা ও আরও কিছু বিষয় জানার জন্যই তাকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছিল। এবারও একই যুক্তি দেখিয়ে সিবিআই সাইগলকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করবে বিচারকের কাছে।
সিবিআই আইনজীবীদের অভিযোগ, সাইগল তদন্তে সহযোগিতা করছেন না। তিনি সাইলেন্ট বা নীরব থাকছেন। এদিন নজর থাকবে সাইগল হোসেনের বিপুল সম্পত্তির হিসেবপত্র সিজারলিস্ট হিসাবে সিবিআই জমা দেয় কিনা সেটাই এখন দেখার।
গরু পাচার মামলায় অনুব্রতর ঘনিষ্ঠদের একের পর এক ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। মামলার প্রধান অভিযুক্ত বিনয় মিশ্র বর্তমানে পলাতক। এই মামলার অন্যতম এনামুল হক ও বিএসএফের কম্যান্ডান্ট সতীশ কুমারকে সিবিআই গ্রেফতার করলেও তারা এই মুহুর্তে শর্তসাপেক্ষে জামিনে রয়েছে। একই সঙ্গে বিনয়ের ভাই বিকাশ মিশ্রকেও গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। বিকাশ দশদিন আগেই আসানসোলের সিবিআই আদালত থেকে গরু পাচার মামলায় জামিন পেয়েছে।