অমানবিক: বউমাকে পছন্দ নয়, এক বছরের নাতিকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা ঠাকুমার!

দুর্গাপুর: ছেলে নিজের পছন্দের পাত্রীকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু বউমাকে কোনওদিনই মেনে নিতে পারেননি শাশুড়ি ভারতী দেবনাথ। এ নিয়ে সংসারে নিত্য অশান্তি চলত। মঙ্গলবার সেই অশান্তি এমন চরমে পৌঁছল যে ছেলের কোলে থাকা এক বছরের ছোট্ট নাতিকে পুড়িয়ে মেরে ফেলার চেষ্টার অভিযোগ উঠল ঠাকুমার বিরুদ্ধে! চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ইস্পাত নগরী দুর্গাপুরে।

আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিশুটিকে ভর্তি করা হয়েছে একটি বেসরকারি হাসপাতালে। অমানবিক এই ঘটনাটি ঘটেছে ইস্পাত নগরী দুর্গাপুরে। ঘটনায় তীব্র শোরগোল এলাকায়।

স্থানীয় সূত্রে খবর, ২০১৩ সালে দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীর নাগার্জুন রোডের বাসিন্দা সুব্রত দেবনাথের সঙ্গে বিয়ে হয় শর্মিষ্ঠার। ভালোবেসে বিয়ে করলেও সংসার সুখের হয়নি শর্মিষ্ঠার। বিয়ের পরপরই অশান্তি নিত্যদিনের রোজনামচা ছিল এই পরিবারের। এমনটাই দাবি প্রতিবেশীদের। শাশুড়ি-বউমার এই নিত্যদিনের অশান্তি যে এভাবে চরম আকার নেবে তা কল্পনা করতে পারেনি কেউই।

জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে এই পারিবারিক অশান্তি চরমে ওঠে। জোর ঝগড়া হয় শাশুড়ি-বউমার। অভিযোগ, এদিন ছোট্ট অর্ণব যখন বাবার কোলে ঘুমোচ্ছিল ঠিক তখনই অশান্তির জেরে ঠাকুমা গ্যাসের পাইপ খুলে দিয়ে দেশলাই দিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। আগুনে শিশুটির মুখ-হাত এবং পেট পুড়ে যায়। ঘটনার আকস্মিকতা কাটিয়ে কোনওরকম ছেলেকে উদ্ধার করেন বাবা। ছুটে আসেন প্রতিবেশীরাও।

বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ছোট্ট অর্ণব। ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন সুব্রত দেবনাথও ।

মা ভারতী দেবনাথের এমন আচরণে তাঁর বিরুদ্ধে দুর্গাপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করছেন ছেলে সুব্রত। এইদিকে সামান্য পুড়ে যাওয়ায় অভিযুক্ত ভারতী দেবনাথও আপাতত ভর্তি দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে।

শাশুড়ির বিরুদ্ধে শর্মিষ্ঠা দেবীর অভিযোগ, এর আগে তাঁর ওপর শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। তাঁর পড়াশোনা ও অন্যান্য শংসাপত্র ও দরকারি কাগজ পুড়িয়ে দিয়েছিলেন শাশুড়ি। এবার তাঁর জন্য নিজের সন্তান আজ আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে। কান্নায় ভেঙে পড়েন শর্মিষ্ঠা। এদিকে গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে দুর্গাপুর থানার পুলিশ। আরও পড়ুন: এবার ভুয়ো সেনার খোঁজ মিলল বাংলায়, নকল পরিচয়পত্র বানিয়ে প্রতারণার অভিযোগ