
দুর্গাপুর: দুর্গাপুর ধর্ষণকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড় নির্যাতিতার পরিবার। নির্যাতিতার বাবার বক্তব্য, আরজি করের ক্ষেত্রে সিবিআই-এর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল, সিবিআই তদন্ত হলেই দোষী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পাবে বলে জানিয়েছেন নির্যাতিতার বাবা। যদিও আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের সিপি জানিয়েছেন, নির্যাতিতার বাবাকে সব রকমভাবে সাহায্য করা হচ্ছে। তদন্তও সঠিক পথে এগোচ্ছে। সব অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
যদিও TV9 বাংলার এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে নির্যাতিতার বাবা বলেন, “আমি বারবার দোষীদের শাস্তি চাই। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। পুলিশের তদন্তের অগ্রগতি হয়েছে। তবে আমার তাও সন্দেহ রয়েছে। সিবিআই তদন্ত হলে আরও ভাল তদন্ত হবে। আমি অনুরোধ করব, সিবিআই তদন্ত করলে আর দ্রুত দোষীরা শাস্তি পাবে।” কথা প্রসঙ্গে তিনি আরজি করের টেনে আনেন। নির্যাতিতার বাবা বলেন, “আরজি করের ক্ষেত্রে উপযুক্ত পদক্ষেপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করেননি। তদন্ত ভাল ভাবে হবে, দোষীরা শাস্তি পাবে। ”
উল্লেখ্য, দুর্গাপুরের এই ঘটনায় প্রথমে গণধর্ষণের তত্ত্ব সামনে আসছিল, কিন্তু এবার নির্যাতিতা পুলিশের কাছে গোপন জবানবন্দিতে জানিয়েছেন, ‘ধর্ষক একজনই।’ আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের সিপিও সে কথা সাংবাদিক বৈঠক করে স্পষ্ট করেছেন। যদিও আগেই মেডিক্যাল রিপোর্টে ধর্ষণেরই ইঙ্গিত মেলে।
সোমবার অভিযুক্তদের ও নির্যাতিতার সহপাঠীকে নিয়ে আলাদা আলাদা ভাবে ঘটনার পুননির্মাণ করা হয়। হাসপাতালের বেরনোর পথ থেকে যে রাস্তা ধরে নির্যাতিতা ও তাঁর সহপাঠী গিয়েছিলেন, সেই রাস্তাও খতিয়ে দেখা হয়। ঘটনার রাতে ধৃতদের পরনে থাকা পোশাকও উদ্ধার করে পুলিশ। সহপাঠীকে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণের পর তাঁকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। সিপি জানিয়েছেন, নির্যাতিতার সহপাঠীর ভূমিকাও প্রশ্নের ঊর্ধ্বে নয়। তাঁর সহপাঠীর কাছে ফোন থাকা সত্ত্বেও তিনি কেন ঘটনার কথা কাউকে জানাননি, কেন কলেজ কর্তৃপক্ষ কিংবা পুলিশকে জানাননি, সে সব নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।