Murder: ‘তুমি এখান থেকে যাও..’ মাকে শাসিয়ে স্ত্রীকে বেধড়ক মার, লাঠির আঘাতেই চোখ বুঝল মহিলা

আসানসোল: দাম্পত্য কলহের জেরে খুনের(Murder) ঘটনা যেন ক্রমেই বেড়ে চলেছে বাংলার বুকে। এবার পারিবারিক বিবাদের জেরে স্ত্রীকে(Wife) বেধড়ক লাঠিপেটা করে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটানাটি ঘটেছে কুলটি থানার বরাকর ফাঁড়ির বরাকর রানিবাংলো এলাকায়। সূত্রের খবর, নৈহাটির বাসিন্দা মঞ্জু কুম্ভকারের (৩৩) সঙ্গে বরাকরের রানিবাংলোর হাসপাতাল রোডের অশোক কুম্ভকারের ১৬ বছর আগে বিয়ে হয়। বর্তমানে তাঁদের তিন কন্যা সন্তানও আছে। তবে স্বামী-স্ত্রী বর্তমানে এক আলাদা থাকতেন বলে জানা যাচ্ছে। 

সূত্রের খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই মঞ্জু দেবী  নৈহাটিতে তাঁর বাপের বাড়িতে থাকতেন। তবে আলাদা থাকলেও স্বামীর কাছ থেকে নিতে প্রায়শই বরাকরে আসতেন তিনি। এদিকে অশোক এলাকায় দিন মজুরের কাজ করেন বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, বুধবার সকালে ব্ল্যাক ডায়মন্ড এক্সপ্রেসে মঞ্জু দেবী বরাকরে শ্বশুর বাড়িতে আসেন। মেয়েদের কিছু শংসাপত্র ও টাকা নিতেই তিনি আসেন বলে জানা যায়। কিন্তু, বাড়িতে ঢুকতেই স্বামীর সঙ্গে নানা বিষয় নিয়ে তর্কাতর্কি শুরু হয়। তখনই বাড়িতে থাকা বেতের লাঠি দিয়ে স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে অশোকের বিরুদ্ধে।  এমনকী তাঁর মায়ের আপত্তিও কানে তোলেননি তিনি। 

সূত্রের খবর, বেতের লাঠির লাগাতার আঘাতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মঞ্জু দেবীর। তাঁর মাথাতেও বড়সড় ক্ষতচিহ্ন মিলেছে বলে জানা যাচ্ছে। এ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। খবর যায় পুলিশে। গ্রেফতার হয়েছেন অশোক। বুধবারই তাঁকে তোলা হয়েছে আদালতে। অন্যদিকে মৃত মঞ্জু দেবীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনা প্রসঙ্গে মঞ্জুর শাশুড়ি তথা অশোকের মা সরস্বতী দেবী বলেন, “বউমা এসেছিল টাকা চাইতে। তখনই দুজনের মধ্যে শুরু হয়ে যায় ঝগড়া। ঝগড়া শুনে আমি থামাতে গেলে ছেলে আমাকে বলে স্বামী-স্ত্রীর ব্যাপার তুমি চলে যাও। তারপর তো দেখি এই কাণ্ড ঘটে গিয়েছে।”