Chittaranjan school: প্রজেক্টের খাতা জমা নিয়ে গণ্ডগোল, স্কুলের মধ্যেই শিক্ষকের বাইকে আগুন লাগালো ৭ ছাত্র
চিত্তরঞ্জন দেশবন্ধু বিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণির ৭ জন ছাত্র ইতিহাসের শিক্ষক অবনী কুমার বেরার বাইকে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ।
আসানসোল: প্রজেক্টের খাতা জমা দেওয়া নিয়ে বিবাদ হয়েছিল শিক্ষকের সঙ্গে। ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে শিক্ষকের বাইকে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠল বেশ কয়েক জন ছাত্রের বিরুদ্ধে। স্কুলের পার্কিংয়ে রাখা শিক্ষকের বাইকে আগুন লাগানো হয়েছে। অভিযুক্ত ছাত্রদের চিহ্নিত করতে পেরেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমানের চিত্তরঞ্জন দেশবন্ধু বিদ্যালয়ে। সেই স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণীর ৭ ছাত্র এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ। দেশবন্ধু বিদ্যালয় সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশনের অধীনে হিন্দি মিডিয়াম স্কুল।
চিত্তরঞ্জন দেশবন্ধু বিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণির ৭ জন ছাত্র ইতিহাসের শিক্ষক অবনী কুমার বেরার বাইকে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার সময় বাইকটি সম্পূর্ণ পুড়ে গিয়েছে। ঘটনার পর আরপিএফ ও চিত্তরঞ্জন পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। দোষী ছাত্রদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন ওই শিক্ষক। পড়ুয়াদের অধিকাংশেরই বয়স ১৭ বছরের আশপাশে। ছাত্ররা মহিজাম ও চিত্তরঞ্জনের বাসিন্দা।
শিক্ষক অবনী কুমার বেরার দাবি, ওই পড়ুয়াদের প্রজেক্টের খাতা জমা দিতে বলা হয়েছিল। ওই পড়ুয়ারা প্রথমে বলে তারা জমা দেবে না খাতা। পরে তারা জানায় বুধবার খাতা জমা দেবে। এর পরেই মঙ্গলবার ওই ছাত্ররা বাইকে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাটি স্কুলের গার্ডের নজরে এলে শিক্ষকদের খবর দেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও পড়ুয়ারা জল দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু আগুন এতটাই ভয়াবহ ছিল ফায়ার ব্রিগেডকে ডাকতে হয়। এরপর দমকলের একটি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও বাইকটি সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায়।
স্কুল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, আড়াই মাস আগে ওই পড়ুয়ারা স্কুলের বাউন্ডারি দেওয়াল ভেঙেছিল। সিসিটিভি ক্যামেরাও ভেঙেছিল তারা। এমনকি পরীক্ষায় কম নম্বর মেলায় ইংরেজি শিক্ষক ডিসি দত্তের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছিল অভিযুক্ত ছাত্রদের বিরুদ্ধে। ওই পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে চিত্তরঞ্জন কারখানার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছেও। তাদের অভিভাবকদেরও স্কুলে ডাকা হলেও তাঁরা আসেননি বলে অভিযোগ।