Pradip Kumar Majumdar: পরনে লুঙ্গি, মাথায় গামছা! কৃষি জমিতে অন্য মেজাজে দেখা গেল পঞ্চায়েত মন্ত্রীকে
Pradip Kumar Majumdar: মঙ্গলবার তাঁকেই দেখা গেল অন্যরকম মেজাজে। দীর্ঘ প্রায় বারো বছর পর দুর্গাপুর থেকে রাজ্যের মন্ত্রী হয়েছেন কোনও বিধায়ক। সম্ভবতই খুশি এলাকার মানুষজন।
দুর্গাপুর: মাথায় গামছা, পরনে লুঙ্গি, হাতে লাঠি! ঠিক এমন অবস্থায় দেখা গেল রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রীকে।
কথা হচ্ছে পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারকে নিয়ে। মঙ্গলবার তাঁকেই দেখা গেল অন্যরকম মেজাজে। দীর্ঘ প্রায় বারো বছর পর দুর্গাপুর থেকে রাজ্যের মন্ত্রী হয়েছেন কোনও বিধায়ক। সম্ভবতই খুশি এলাকার মানুষজন।এবার তিনিই নিজের বিধানসভা এলাকা অর্থাৎ দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল লাগোয়া কাঁকসা ব্লকের রূপগঞ্জ গ্রামে লুঙ্গি পরে কৃষকের বেশে চাষের জমিতে হাল দিচ্ছিলেন। সাধারণ কৃষক পরিবারের ছেলে প্রদীপবাবু। এলাকাবাসী তাঁকে মাটির মানুষ হিসাবে চেনেন। ফলত মন্ত্রী হলেও তিনি যে তাঁর এলাকার মানুষের পাশাপাশি রাজ্যের মানুষের সঙ্গে রয়েছেন সেই বার্তাই যেন এদিন দিলেন নতুন দায়িত্ব পাওয়া মন্ত্রী।
এ দিন প্রদীপবাবু বলেন, ‘কবিগুরুর কবিরূপ নিয়েই আমরা বেশি সচেতন। কিন্তু অনেকেই জানেন না তাঁর কৃষিক্ষেত্রে কী অবদান ছিল। একদিকে যেমন শ্রীনিকেতন তিনি তৈরি করেছিলেন। নিজের পুত্রকে কৃষিশিক্ষার জন্য সর্বপ্রথম বিদেশে পাঠিয়েছিলেন। এতটাই তিনি নিবিড়ভাবে কৃষকদের কথা চিন্তা করেছিলেন। আমি আগেও লাঙল নিয়ে চাষ করেছি। অনেকদিন নতুন যন্ত্র পেলেও চালানো হয়নি। তবে আজ হাতে পেয়ে খুব ভাল লাগছে।’ অর্জুন গোপ নামে এক কৃষক বলেন, ‘আমরা চাষ করছিলাম। সেই সময় মন্ত্রীমশাই মাঠে নেমে লাঙল ধরলেন। খুব ভাল লাগল।’
প্রদীপ মজুমদার বাংলার ‘কৃষক বন্ধু’ নামে পরিচিত। ২০২১ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্গাপুর পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হন। প্রথম থেকেই অনুমান ছিল যে, তাঁকে খুব বেশি দিন ক্যাবিনেট মন্ত্রীদের তালিকা থেকে বাইরে থাকতে হবে না। মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান কৃষি উপদেষ্টাকে তাঁর আরও বড় দায়িত্ব দান করা হল । রাজ্যের নতুন পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন প্রদীপবাবু ।