Asansol : এ কেমন ‘নীতি পুলিশি’? যুবককে ‘শাস্তি’ দিতে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে

Moral Policing of TMC Leader: সোহন কুইরির বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে অন্য পাড়ার এক ছেলেকে মারধর করেছিল। কয়েকদিন আগে ঘটনার অভিযোগ জানানো হয়েছিল তৃণমূলের ওয়ার্ড প্রেসিডেন্টকে।

Asansol : এ কেমন 'নীতি পুলিশি'? যুবককে 'শাস্তি' দিতে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে
মারধরের অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 25, 2022 | 3:35 PM

আসানসোল : এ কেমন নীতি পুলিশি? ‘শাস্তি’ দিতে বাঁশ দিয়ে যুবককে বেধড়ক মারের অভিযোগ উঠল আসানসোলে। ‘আইন হাতে তুলে নেওয়া’র অভিযোগ উঠেছে আসানসোলের এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। যুবককে ‘শাস্তি’ দেওয়ার নাম করে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে চুনুচুনু রাউত নামে কুলটির এক তৃণমূল নেতা। ঘটনাটি ঘটেছে কুলটির নিয়ামতপুর ৪ নম্বর ইসিএল এলাকায়। আসানসোল পুরনিগমের ৬০ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছে এই এলাকা। অভিযোগ উঠেছে, সোহন কুইরি নামে এক যুবককে বেধড়ক পিটিয়েছেন ওই তৃণমূল নেতা। সোহন কুইরির বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে অন্য পাড়ার এক ছেলেকে মারধর করেছিল। কয়েকদিন আগে ঘটনার অভিযোগ জানানো হয়েছিল তৃণমূলের ওয়ার্ড প্রেসিডেন্টকে।

এরপর সেই মারধরের ঘটনার শাস্তি দিতেই সোহনকে বাঁশ দিয়ে পেটানো হয়। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার। বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারির স্ত্রী চৈতালি তেওয়ারি টুইট করেছেন সেই মারধরের ভিডিয়োটি। ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তিনি। বিজেপি নেত্রীর অভিযোগ, আইনের শাসন নেই। আসানসোলে তাই শাসকরা আইন তুলে নিচ্ছেন নিজের হাতে। এদিকে ঘটনার পর থেকেই ফোন সুইচড অফ অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা চুনচুন রাউতের। এলাকা থেকেও বেপাত্তা তিনি।

যদিও তৃণমূলের ওয়ার্ ডপ্রেসিডেন্ট ধর্মদাস সেনগুপ্তের দাবি, “একটি ঝামেলা হয়েছিল। আমি তখন বাড়িতেই ছিলাম। হইচই শুনে বাইরে গিয়ে দেখি, ছেলেটাকে মারা হয়েছে একটু। একটা সজনের ডাল দিয়ে মারা হয়েছিল। পরিস্থিতি এতটা উত্তপ্ত হয়ে গিয়েছিল, তার জেরেই ওই ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনাকে আমি সমর্থন করছি না। আমি বেরিয়ে আসার পর পরিস্থিতি আমার ঠান্ডা হয়ে যায়।” তবে,আইন নিজের হাতে না তুলে নেওয়াই উচিত ছিল বলে মত তাঁর। তিনি আরও জানিয়েছেন ওই যুবকের চিকিৎসা ব্যবস্থাও করা হয়েছে। তবে চুনচুন রাউতের বিরুদ্ধে কি কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে? সে ব্যাপারে কেউ মুখ খোলেননি। এমনকি কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা মেয়র পরিষদ ইন্দ্রানী মিশ্র চট্টোপাধ্যায়।