এক কিলো ওজনের রুপোর মুকুট পরিয়ে তৃণমূল বিধায়ককে সংবর্ধনা, বিতর্ক

TMC MLA: তৃণমূলের স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি কিরিটি মুখোপাধ্যায় জানান নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী একদিকে যেমন বিধায়ক, তেমনি তিনি এই এলাকার বাসিন্দাদের অভিভাবক। তাই এই সংবর্ধনা।

এক কিলো ওজনের রুপোর মুকুট পরিয়ে তৃণমূল বিধায়ককে সংবর্ধনা, বিতর্ক
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 24, 2021 | 11:51 PM

দুর্গাপুর: ভরা মঞ্চ। প্রবল করতালি ধ্বনির মধ্যে দিয়ে দলের কর্মীদের পক্ষ থেকে রুপোর মুকুট পরিয়ে তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) কে দেওয়া হলো সংবর্ধনা। আনন্দে আপ্লুত হলেন বিধায়ক। খুশি দলীয় কর্মীরা।

এদিকে এই মূল্যবান উপহার পেয়ে পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বিগলিত হলেও শুরু হয়েছে বিতর্ক। এলাকার মানুষ ও দলের কর্মীরা চাঁদা তুলে মুকুটটি বিধায়ককে উপহার দিয়েছেন বলে জানান দলের স্থানীয় নেতারা। অন্যদিকে বিজেপি ও সিপিএমের তরফে ধেয়ে এসেছে কটাক্ষ।

শনিবার সন্ধ্যায় পাণ্ডবেশ্বরের কুমারডিহি পঞ্চায়েতের জোয়ালভাঙ্গা গ্রামে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে আয়োজন করা হয় একটি সংবর্ধনা সভা। সেই সভাতেই সংবর্ধিত করা হয় স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে। গ্রামবাসী ও তৃণমূল কর্মীদের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক ও প্রায় এক কেজি ওজনের একটি রুপোর মুকুট উপহার দেওয়া হয় বিধায়ককে। সভামঞ্চেই বিধায়কের মাথায় সুসজ্জ্বিত রুপোর মুকুটটি পরিয়ে দেন দলের কর্মীরা।

এদিকে বিধায়কে দেওয়া দামি উপহার দেওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। কয়েক বছর আগে বীরভুম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে একটি সোনার মুকুট পরিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। এদিন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে দামি উপহার দেওয়া নিয়েও চর্চা শুরু হয়েছে এলাকায়।

যদিও নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর দাবি, এতে বিতর্কের কিছু নেই। গ্রামের লোকজন আর তাঁর কর্মীরা চাঁদা তুলে ভালোবেসে এই উপহার দিয়েছেন। তাই তিনি সেটি গ্রহণ করেছেন। উপহার পাওয়া রুপোর মুকুটটি তিনি স্থানীয় কালীমন্দিরে অর্পণ করে দেবেন বলেও জানান নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী।

আয়োজকদের পক্ষে তৃণমূলের স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি কিরিটি মুখোপাধ্যায় জানান নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী একদিকে যেমন বিধায়ক, তেমনি তিনি এই এলাকার বাসিন্দাদের অভিভাবক। তাই এই সংবর্ধনা। রুপোর মুকুট উপহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সংবর্ধনায় নতুনত্ব কিছু করার ভাবনা থেকেই এই উদ্যোগ। রুপোর মুকুটটির জন্য গ্রামের মানুষজন ও দলের কর্মীরা সবাই সাধ্যমতো চাঁদা দিয়েছেন। এরমধ্যে অযথা বিতর্ক খোঁজা অনর্থক বলে দাবি করেন তিনি ।

যদিও জেলা বিজেপির সভাপতি বিধায়ক লক্ষণ ঘরুই ও সিপিএমের জেলা নেতা পঙ্কজ রায় সরকার এই মুকুট-সংবর্ধনার তীব্র সমালোচনা করেছেন। আরও পড়ুন: ৪৮ ঘণ্টা পরেও মেলেনি মার্কশিট! ইলামবাজারে স্কুলে বিক্ষোভ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের