ICDS Centre: টিকটিকি কি এমনি পড়ে? বাঁশঝাড়ে রান্না হচ্ছে মিড-ডে মিল

Chandrakona: বাঁশের বনে খোলা আকাশের নীচে চলছে আইসিডিএস কেন্দ্রের রান্না। সেখানে জ্বালানি হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে গাছের পাতা।

ICDS Centre: টিকটিকি কি এমনি পড়ে? বাঁশঝাড়ে রান্না হচ্ছে মিড-ডে মিল
খোলা আকাশের নীচেই চলছে রান্না
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 08, 2022 | 3:46 PM

চন্দ্রকোণা: বাঁশের বনে খোলা আকাশের নীচে চলছে আইসিডিএস কেন্দ্রের রান্না। সেখানে জ্বালানি হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে গাছের পাতা। এ বাবেই রোজ হচ্ছে ৯১ জনের রান্না। সেই সঙ্গে অভিযোগ দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে ওই আইসিডিএস কেন্দ্রের শিক্ষিকা স্কুলে আসেন না। এমনই ঘটনা দেখা গেল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের বেড়াবেড়িয়া আইসিডিএস কেন্দ্রে। এ নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ জমেছে এলাকাবাসীর মধ্যে। আইসিডিএস কেন্দ্রের রান্নার প্রায়শই পোকামাকড়, টিকটিকি পড়ার অভিযোগ সামনে আসে। এ রকম ভাবে অপরিচ্ছন্ন জায়গায় রান্না হলে খাবারে পোকামাকড় পড়বে, এতে আর আশ্চর্য হওয়ার কী আছে!

এলাকার মানুষজনদের দাবি, এই আইসিডিএস কেন্দ্র থেকে ছোট্ট শিশু ও অন্তঃসত্ত্বাদের খাবার তৈরি হয়।  আইসিডিএস কেন্দ্রের খাবার কেন খোলা আকাশের নীচে তৈরি হচ্ছে? প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রা। বিভিন্ন গাছের পাতা ঝেঁটিয়ে এনে সেই পাতাকে জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রান্না হচ্ছে বলে অভিযোগ। আর সেই রান্নাই চলে যাচ্ছে গর্ভবতী মা  ও ছোট্ট ছোট্ট শিশুদের কাছে। কেন আইসিডিএস কেন্দ্রে রান্নার জন্য় জ্বালানির ব্যবস্থা থাকবে না, সে প্রশ্নও মাথা চাড়া দিচ্ছে। বেড়াবেড়িয়ার ওই কেন্দ্রে মোট ৯১ জনের রান্না হয় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরেই শিক্ষিকা এবং ছাত্র-ছাত্রীদের দেখা নেই বলে অভিযোগ।

এই কেন্দ্রে একজন শিক্ষিকা একজন সহায়িকা থাকলেও তিনি রান্না করেন না বলে অভিযোগ। সহয়িকা রান্না করার জন্য একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট রেখেছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। শিক্ষিকা প্রায় কয়েক মাস ধরে আসছেন না। তাই ছাত্রছাত্রীরাও আসছে না বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। ওই কেন্দ্রের সহায়িকা তনুশ্রী ঘোষ বলেছেন, “প্রতিদিন এখান থেকে ৯১ জনের রান্না করা হয়।  খোলা আকাশের নীচেই দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে রান্না। আমরা ব্লক প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। আর শারীরিক অসুস্থতা থাকার কারণে আজ শিক্ষিকা আসেননি, কিন্তু মাঝেমধ্যে উনি আসেন।“

আইসিডিএস কেন্দ্রের শিক্ষিকা চায়না মাঝি জানিয়েছেন কিছু অসুবিধা থাকায় দিন কয়েক তিনি আসতে পারেনি। কিন্তু প্রায়শই সেন্টারে আসেন বলে দাবি করেছেন তিনি। বলেছেন, “নৌকায় চড়ে শিলাবতী নদী পার হয়ে এই আইসিডিএস কেন্দ্রে আসতে হয় ছোট্ট বাচ্চাদের। তাই সেই বাচ্চারা আইসিডিএস কেন্দ্রে আসে না।” রান্নার বিষয়ে তিনি বলেন, “ব্লক প্রশাসন থেকে শুরু করে গ্রাম পঞ্চায়েত সকলকে জানানো হয়েছে এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন।”

ওই ব্লকের সিডিপিও সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমি অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে চন্দ্রকোনা ১ চক্রে আছি। সবটা আমার পক্ষে জানা সম্ভব নয়। এলাকাবাসী-সহ জনপ্রতিনিধিরা কেউই বিষয়টি আমাদের জানায়নি। এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।” এ বিষয়ে চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের বিডিও রথীন্দ্রনাথ অধিকারী বলেছেন, “আমি বিষয়টি শুনেছি। খোঁজখবর নিয়ে দেখছি।”