Ghatal: পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি! জল কমতেই ঠোঁটের কোণে হাসি ঘাটালবাসীর
Ghatal Flood Update: এখনও প্লাবিত ঘাটাল পৌর এলাকাসহ গ্রামীণ বিস্তীর্ণ এলাকা।
ঘাটাল: কিছুটা উন্নতি হয়েছে আবহাওয়ার। আর তার জেরে কমতে শুরু করেছে বন্যার জল। তবে এখনও দুর্ভোগের মধ্যেই দিন কাটাচ্ছে বানভাসি এলাকার মানুষজন।
প্রতিবছর বর্ষায় সংবাদ শিরোনামে উঠে আসে ঘাটালের (Ghatal) বন্যা। এবছরও অন্যথা হয়নি। একটানা বন্যায় বিপর্যস্ত ঘাটালের (Ghatal) জনজীবন । পরপর নিম্নচাপে ভারি বৃষ্টির জেরে শিলাবতী নদীর (Silabati River) জল বেড়ে পাঁচবার প্লাবিত হয়েছে ঘাটালের (Ghatal) বিস্তীর্ণ এলাকা।
আবহাওয়ার উন্নতির সঙ্গে জল কমতে শুরু করেছে ঘাটালের (Ghatal) বিস্তীর্ণ এলাকায়। এখনও প্লাবিত ঘাটাল পৌর এলাকাসহ গ্রামীণ বিস্তীর্ণ এলাকা। বন্যার জলে ডুবে রয়েছে চাষের জমি, রাস্তাঘাট। কোথাও বন্যার জল পেরিয়ে কোথাও নৌকা ডিঙি চড়ে চলছে পারাপার। একাধিকবার বন্যায় বিপর্যস্ত ঘাটালের জনজীবন।
এক এলাকাবাসী জানান, “জল কিছুটা কমছে। তবে আগের থেকে একটু ভালো পরিস্থিতি। এই নিয়ে পাঁচবার বন্যা হল। আমরা ডিঙি চড়ে যাতায়াত করছি। তবে জলের তলায় একাধিক ওয়ার্ড। একে করোনা, তার উপর বন্যা। বাজার-হাট সব শিকেয় উঠেছে। তার মধ্যে মশা মাছির উপদ্রব বেড়েছে। সরকারের তরফ থেকেও কোনও ত্রাণ দেওয়া হয়নি।”
গতকালও জলযন্ত্রণায় ভুগছিল ঘাটালবাসী (Ghatal)। পরপর পাঁচবার লাগাতার বর্ষায় প্লাবিত পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের বিস্তীর্ণ এলাকা। এখনও জলবন্দি হয়ে ঘরে বসে রয়েছেন মানুষ। মশামাছির উপদ্রব বাড়ছে, বাড়ছে পানীয় জলের সমস্যা। তার মধ্যে স্থলপথে এখনও চালাতে হচ্ছে নৌকা। পুজোর পরেও এটাই ঘাটালের ছবি। সব মিলিয়ে নাজেহাল ঘাটালবাসী বলছেন, ‘এ যেন নরক যন্ত্রণা!’
ঘাটালে গত কয়েক দিনে আবারও জল বেড়েছে। ডুবেছে যাতায়াতের পথ, নৌকা ডিঙি চালিয়ে চলছে পারাপার। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণের পুরো এলাকাই কার্যত জলের তলায় চলে গিয়েছে। ঘাটাল পুর এলাকা যেন আস্ত জলাশয়। পুর এলাকা থেকে ঘাটাল ব্লক ও দাসপুরে সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় আবারও জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। আর লক্ষ্মীপুজোতে এমনই জলযন্ত্রণায় নাজেহাল হয়ে উঠেছেন ঘাটাল মহকুমার বাসিন্দারা। উঠছে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন।
ঘাটালের মানুষজন বলছেন প্রায় চার মাস ধরে তারা এই রকমই জলযন্ত্রণা ভোগ করছেন। বাধ্য হয়ে গলা ও কোমরজল ডিঙিয়ে নিত্যদিনের যাতায়াত করছেন তাঁরা। তার পর সাপের ভয়, জলের সমস্যা- এসব তো বাড়তি মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঘাটালবাসী বলছেন, এবার যা বৃষ্টি দেখছেন আর যে পরিস্থিতির মধ্যে দিনযাপন করছেন তা অতীতের বছরের সব জলযন্ত্রোণার রেকর্ড ভেঙে ডুবিয়ে দিয়েছে।
আর এই ভোগান্তি, এই জলযন্ত্রণার ফলে শুধু যে মানুষের যাতায়াতের সমস্যা হচ্ছে তা নয়, লাগাতার বর্ষণ আর বন্যার জেরে ঘাটাল মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকায় ক্ষতি হয়েছে। তাই এবার চাষবাসও মাথায় উঠেছে। এই মরসুমে কৃষিকাজ থেকে শুরু করে একশো দিনের কাজ, মানুষের রুজিরোজগারে কোপ পড়েছে। সংসারে অভাব শুরু হয়েছে। বাজারে আগুন মূল্য। সব মিলিয়ে যেন চক্রব্যূহে বন্দি হয়েছেন তাঁরা। পরিত্রাণের উপায় খুঁজছেন, কিন্তু পাচ্ছেন কই?