যাওয়া হল না শ্বশুরবাড়ি, জলে ভেসে আটকে গেলেন মাছ ধরার জালে! মেদিনীপুরে মর্মান্তিক ঘটনা
Paschim Medinipur: বুধবার তিনি শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার জন্য বের হন। কিন্তু তারপর থেকে আর খোঁজ মিলছিল না। পরিবারের তরফ থেকে সম্ভাব্য সমস্ত জায়গায় খোঁজ করা হয়।
পশ্চিম মেদিনীপুর: শ্বশুরবাড়ি আর যাওয়া হলো না খড়্গপুরের তারাচাঁদ বারিকের । ডেবরার কিসমত এলাকায় শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার পথেই জলে ভেসে গিয়ে মৃত্যু হল তাঁর। অন্তত তেমনটাই প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। এবারের বৃষ্টিতে পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) অবস্থা খারাপ। চরম দুর্ভোগে বাসিন্দারা। আর সেখান থেকেই এল প্রথম মৃত্যুর খবর।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ ছিলেন বছর বিয়াল্লিশের তারাচাঁদ বারিক।তিনি খড়্গপুর এলাকার গিরিময়দান এলাকার ফরিদাপুরের বাসিন্দা। শুক্রবার সকালে ডেবরার কিসমত এলাকায় সাতসকালে এক মৃত দেহ ভাসতে দেখে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। মাছ ধরার জালে ওই ব্যক্তির মৃতদেহ আটকে থাকতে দেখেন এলাকার লোকজন। পরে তাঁর দেহ শণাক্ত করা হয়।
পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ডেবরা বাজার থেকে হেঁটেই শ্বশুরবাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, জলের তোড়েই ভেসে গিয়েছিলেন তিনি। পরে মাছ ধরার জালে আটকে যান। তারপর নিজেকে আর ছাড়াতে পারেননি।
বুধবার তিনি শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার জন্য বের হন। কিন্তু তারপর থেকে আর খোঁজ মিলছিল না। পরিবারের তরফ থেকে সম্ভাব্য সমস্ত জায়গায় খোঁজ করা হয়। শুক্রবার জলস্তর কমতে শুরু করলে দেহ ভাসতে দেখা যায়।
এক প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, “আমরা মনে বুঝতে পারি নি। মনে হচ্ছিল জলের মধ্যে কিছু একটা ভাসছে। মাছের জালে দেহটা এমনভাবে পেঁচিয়ে গিয়েছিল, যা দূর থেকে কোনওভাবেই দেখে বোঝার উপায় ছিল না। কাছে যেতেই বোঝা যায়। দেহটিকে কোনওভাবে উদ্ধার করা হয়। এলাকায় খবর ছড়িয়ে পড়ে। পরে পরিবারের সদস্যরা গিয়ে দেহ শণাক্ত করেন।”
নিম্নচাপের জেরে টানা বর্ষণ। তার জেরে দুর্ভোগের সম্মুখীন ঘাটালবাসী। অতি ভারী বৃষ্টির ফলে ঘাটাল ব্লকের মনসুকা এলাকায় ঝুমী নদীর জ্বলস্তর বেড়েছে। তার ফলে যাতায়াতের সমস্যায় পড়তে হয়েছে গ্রামবাসীদের।
এক মাস আগের বন্যার ক্ষত এখনও সারেনি, ঝুমী নদীর জলের তোড়ে ভেঙেছিল একাধিক কাঠের সাঁকো, সমস্যায় পড়েছিলেন মনসুকা গ্রামের বাসিন্দারা। যাতায়াতের জন্য জল কমতেই বাঁশ ও কাঠের সাঁকো পুনরায় তৈরি করেছিলেন তাঁরা। আবার বৃষ্টির ফলে ঝুমী নদীর জল বাড়ায় সমস্ত সাঁকো জলের তোড়ে ভেঙে নিয়ে চলে গেছে ।
ফলে নদীতে রাতদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকোতে করতে হচ্ছে পারাপার। যে কোনও সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। সেতুগুলি ভেসে যাওয়ায় এলাকাবাসীর একমাত্র উপায় নৌকা। এর ফলে মনসুকা ১ -২ গ্রাম পঞ্চায়েত মানুষ ও হুগলি ও মেদিনীপুর দুই জেলার দূরদুরন্ত থেকে আসা মানুষদের ব্যাপক ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: টানা বৃষ্টিতে বাড়ছে নদীর জলস্তর, ভাঙছে সাঁকো! এক মাসের ফারাকে ফের দুর্ভোগে ঘাটালবাসী