Ghatal: ব্রিজ তৈরিতে গড়িমসি, ২ বছর হলেও এগোয়নি কাজ, চলছে ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার

West Bengal: নিম্নচাপের বৃষ্টির জেরে দ্বারকেশ্বরে নদীর জলের চাপে ঘাটাল ব্লকের ঝুমি নদীর উপর সাতটি পারাপারের বাঁশের সাঁকো ভেঙে গিয়েই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে মনসুকা বিস্তীর্ণ এলাকায়।

Ghatal: ব্রিজ তৈরিতে গড়িমসি, ২ বছর হলেও এগোয়নি কাজ, চলছে ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার
ঝুঁকিপূর্ণ যাতায়াত (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 18, 2022 | 10:35 AM

ঘাটাল: প্রায় দু’বছর হয়ে গিয়েছে। ব্রিজ তৈরির জেরে গড়িমসি। দু’বছর গড়িয়ে গেলেও এগোয়নি কাজ। এ দিকে, বর্ষা শুরু হতেই ভেঙেছে পারাপারের বাঁশের সাতটি সাঁকো। ফলত, ঝুঁকি নিয়েই নৌকো করে চলছে পারাপার। যার জেরে ক্ষোভ বাড়ছে ঘাটালের বাসিন্দাদের।

পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের ঝুমি এলাকা। সেখান দিয়ে বয়ে গিয়েছে দ্বারকেশ্বর নদী। নিম্নচাপের বৃষ্টির জেরে দ্বারকেশ্বরে নদীর জলের চাপে ঘাটাল ব্লকের ঝুমি নদীর উপর সাতটি পারাপারের বাঁশের সাঁকো ভেঙে গিয়েই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে মনসুকা বিস্তীর্ণ এলাকায়। আর এই সাঁকো ভেঙে যেতেই খরস্রোতা নদীতে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই নৌকোয় চড়ে চলেছে পারাপার

পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল ব্লকের মনসুকা ১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের মাঝখান দিয়ে বয়ে গিয়েছে ঝুমি নদী। পারাপারের জন্য নদীর উপর রয়েছে ছোট-বড় একাধিক বাঁশের সাঁকো।প্রতিদিন দৈনন্দিন কাজে হাজার হাজার মানুষকে পারাপার করতে হয় ঝুমি নদী। মনসুকা থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ঘাটাল মহকুমা শহর। স্কুল-কলেজ অফিস-আদালত হাসপাতাল সবই রয়েছে ঘাটাল শহরে। শহরে যাওয়ার একমাত্র উপায় ঝুমি নদীর উপর ছোট-বড় বাঁশের সাঁকো পারাপার। প্রতিবছর বর্ষা আসলেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে মনসুকার দুটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪০ থেকে ৫০টি গ্রাম। এছাড়াও পাশের জেলা হুগলীর মানুষও এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন।

আর সাঁকো ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হলেও সমস্যায় পড়তে হয় হাজার-হাজার মানুষকে। বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্কুল পড়ুয়া থেকে নিত্যযাত্রীরা নৌকো চড়ে ঝুমি নদি পারাপার করেন।মনসুকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক বললেন, ‘আগের বছর নদী পারাপারের সময় ডুবে গিয়ছিল নৌকো।’

মনসুকা ঝুমি নদীর উপর একটি কংক্রিটের সেতুর দাবি দীর্ঘ কয়েক দশকের। বর্তমান সরকার এলাকাবাসীর দাবিকে মান্যতা দিয়ে ২০২১সালের ২২ শে জুনুয়ারী ঝুমি নদীর উপর ব্রিজ তৈরির কাজ শুরু করলেও তা একে বারেই চলছে ধীর গতিতে। এই ব্রিজের শিলান্যাসে এসেছিলেন তৎকালীন পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ।

অভিযোগ দু’বছর ধরে ব্রিজ তৈরির কাজ চললেও এখনও কিছুই কাজ এগোয়নি। সেই কারণে ক্ষোভে ফুঁসছেন ঘাটালের মনসুকা এলাকার মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দারা চাইছেন দ্রুত ব্রিজ নির্মাণের কাজ শেষ করে প্রতিবছরের এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিক সরকার।

ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি দীলিপ মাঝি মনসুকা এলাকার মানুষজনের ভোগান্তির কথা স্বীকার করে নিয়েছেন, ‘এখন আপাতত প্রতিটি ঘাটে পর্যাপ্ত নৌকো দেওয়া হয়েছে পারাপারের জন্য। আর ব্রিজ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু নদীতে জল বাড়ার জন্য নির্মাণের কাজ বন্ধ রয়েছে। খুব শীঘ্রই ব্রিজ তৈরির কাজ শুরু হবে।’