TMC: ‘কেন আলাদা?’ বিজয়া সম্মিলনী পালন নিয়ে ধুন্ধুমার শাসক শিবিরে
Paschim Medinipur: দুইপক্ষের মধ্যে বচসার জেরে ঘটনার জল গড়ায় হাতাহাতি, মারামারি পর্যন্ত। আহত হন দুই পক্ষের মোট তিনজন।
পশ্চিম মেদিনীপুর: ফের শাসক শিবিরের (TMC) গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে। বিজয়া সম্মিলনীকে কেন্দ্র করে শাসক দলের দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি, বচসার অভিযোগ উঠল। হাতাহাতির জেরে আহত ৩জন। ঘটনাটি নারায়ণগড় ব্লকের হেমচন্দ্র অঞ্চলের কাশিয়া গ্রামের ঘটনা।
জানা গিয়েছে, নারায়ণগড় ব্লকের তৃণমূল (TMC) সহ-সভাপতি রঞ্জিত পাল শনিবার সন্ধ্যায় বেশ কয়েকজনকে নিয়ে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করেন। কিন্তু, এক দলে থেকে কেন অন্য়ত্র সম্মিলনীর অনুষ্ঠান হবে তা নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। কাশিয়া গ্রামের ফুটবল মাঠে সম্মিলনীর আয়োজন করতে গেলে এলাকারই তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি গৌরাঙ্গ আদক ও তাঁর অনুগামীরা বাধা দেন বলে অভিযোগ ওঠে।
দুইপক্ষের মধ্যে বচসার জেরে ঘটনার জল গড়ায় হাতাহাতি, মারামারি পর্যন্ত। আহত হন দুই পক্ষের মোট তিনজন। হাতাহাতির ঘটনায় ছুটে আসেন এলাকাবাসী। আহতদের উদ্ধার করে বেলদা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার ক্রমশ অবনতি হলে তাঁদের মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বেলদা থানার বিশাল পুলিশবাহিনী।
আক্রান্ত এক তৃণমূল নেতার কথায়, “আমরা বিজয়া সম্মিলনীর কাজটাজ সেরে যখন ফিরব ঠিক করি, তখন আমাদের উপর হামলা করা হয়। গৌরাঙ্গ আদক আর তাঁর লোকজনের খুব রাগ যে কেন আমরা বিজয়া সম্মিলনী করব। ওরা আমাদের বাঁশ, লাঠি, রড দিয়ে হামলা করে। আমার মাথার পেছনে তিন ঘা মেরেছে। আমি তখনই অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাই। পড়ে জ্ঞান ফেরে হাসপাতালে। দেখি, মাথা ফেটে গিয়েছে। আমাদের আরও অনেকে আক্রান্ত হয়েছে।”
যদিও ব্লক সভাপতি মিহির চন্দ জানিয়েছেন, খবর পাওয়া গিয়েছে। এই ঘটনা কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনা নয়। এরকম কোনও ঘটনা ঘটেনি। কিছু দুষ্কৃতী রয়েছে। তারাই এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে। দলের এরসঙ্গে কোনও যোগ নেই। পুরো ঘটনাই খোঁজখবর নিয়ে দেখা হচ্ছে। অন্যদিকে, বিজেপির জেলা সভাপতি সৌমেন তেওয়ারির দাবি কাটমানির ভাগবাটোয়ারা নিয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব । শুধুমাত্র কাটমানি নিয়ে এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তৃণমূলের বলেই তিনি মনে করেন আগামী দিনে গোটা পশ্চিমবঙ্গে এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হবে বলে মনে করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ‘মাদার ডেয়ারি নয়, মায়ের দুধ খেয়েছি’, চা-চক্রে দিলীপের নিশানায় ফের মমতাই