দেব-ঘনিষ্ঠ নেতার বিরুদ্ধে বিজেপি-যোগের অভিযোগ, সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা

একুশের ভোটে তৃণমূলের বিরাট জয়ের পরেও হাতছাড়া হয়েছে ঘাটাল কেন্দ্র। দুবারের জয়ী বিধায়ক শঙ্কর দলুইকে এবার মাত্র এক হাজারের বেশি ভোটে হারিয়েছেন বিজেপির শীতল কাপাট। এই ফলের নেপথ্যে তৃণমূলের একাংশই দায়ী বলে মনে করছে নেতৃত্ব।

দেব-ঘনিষ্ঠ নেতার বিরুদ্ধে বিজেপি-যোগের অভিযোগ, সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা
শঙ্কর দলুইয়ের হারের পিছনে দায়ী করা হচ্ছে রূপা মান্নাদের বিজেপি-যোগকে
Follow Us:
| Updated on: May 11, 2021 | 10:00 PM

পশ্চিম মেদিনীপুর: তৃণমূল (TMC) পরিচালিত ঘাটাল (Ghatal) পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী রূপা মান্নার বিরুদ্ধে অনাস্থা আনল নেতৃত্ব। মঙ্গলবার পঞ্চায়েত সমিতির ৩৫ জন সদস্যের মধ্যে ৩০ সদস্য সভানেত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছেন। কিন্তু কেন এই অনাস্থা? তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, রূপার স্বামী রামপদ মান্না ঘাটাল লোকসভার সাংসদ দীপক অধিকারীর (Deb) প্রতিনিধি হিসেবে যুক্ত। কিন্তু তার পরেও তিনি তলায় তলায় বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ঘাটাল বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী তথা ঘাটালের প্রাক্তন বিধায়ক শঙ্কর দলুইয়ের পরাজয়ের অন্যতম কারণ হিসেবে রামপদের দিকে আঙুল তুলেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তাই স্ত্রীয়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনল তারা।

মঙ্গলবার ঘাটালের মহকুমা শাসকের কাছে পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা পত্র জমা দেয় তৃণমূল নেতৃত্ব। অনাস্থা পত্রে আবার দাবি করা হয়েছে, দীর্ঘ দেড় বছর ধরে পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী হয়েও রূপা মান্না দলের কোনও কর্মসূচিতে যোগ দেননি। সেই সঙ্গে পঞ্চায়েত সমিতিতে আসাও বন্ধ করে দিয়েছেন সভানেত্রী। যার ফলে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

এদিকে এই বিষয়ে রূপা মান্নার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। ঘাটাল ব্লক তৃণমূলের সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি দিলীপ মাঝি জানান, “দীর্ঘদিন ধরে দলের সঙ্গে রূপা দেবী কোনও সম্পর্ক না রাখার ফলে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।” এদিকে রূপা দেবীর স্বামীর সঙ্গেও যোগাযাগ করা যায়নি।

আরও পড়ুন: তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনলেন তৃণমূলেরই সদস্যরা TMC

উল্লেখ্য, একুশের ভোটে তৃণমূলের বিরাট জয়ের পরেও হাতছাড়া হয়েছে ঘাটাল কেন্দ্র। দুবারের জয়ী বিধায়ক শঙ্কর দলুইকে এবার মাত্র এক হাজারের বেশি ভোটে হারিয়েছেন বিজেপির শীতল কাপাট। এই ফলের নেপথ্যে তৃণমূলের একাংশই দায়ী বলে মনে করছে নেতৃত্ব।