TMC protest: ত্রিপুরায় গ্রেফতার সায়নী! বিক্ষোভ দেখাতে এই রাজ্যে পথে নামলেন মহিলা কর্মীরা
West Medinipur: ত্রিপুরার মু্খ্যমন্ত্রীর কুশ পুতুল পোড়ানো হয়।
পশ্চিম মেদিনীপুর: ত্রিপুরায় গ্রেফতার তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh)। তৃণমূল যুবর সভানেত্রী সায়নী ঘোষকে গতকাল থানায় ডেকে পাঠিয়েছিল ত্রিপুরা পুলিশ। দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর বিকেলে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে, এমন খবর ছড়িয়ে পড়তেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এই রাজ্য। নিমষের মধ্যে রাজনীতির আগুন যেন ছড়িয়ে পড়ে গোটা রাজ্যে। তৃণমূল নেত্রীর গ্রেফতারির প্রতিবাদে জেলায়-জেলায় শুরু হয় বিক্ষোভ। বাদ পড়েনি পশ্চিম মেদিনীপুরও। গতকাল দফায়-দফায় বিক্ষোভ মিছিল করে তৃণমূল কংগ্রেস।
খড়্গপুরের তালবাগিচা এলাকায় তৃণমূল যুবর শহর সভাপতি অসীত পালের নেতৃত্বে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দে-য়ের কুশপুতুল পুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। তালবাগিচা এলাকায় বড়সড় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এরপর সন্ধেয় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর শহর মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে খড়্গপুরের গোল বাজার এলাকায় একটি প্রতিবাদ মিছিল করে। এবং রাস্তার উপরে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা কর্মী সমর্থকরা স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে।
প্রসঙ্গত, সায়নী ঘোষের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছে ত্রিপুরা পুলিশ। জানা গিয়েছে তৃণমূল যুবর সভানেত্রীর বিরুদ্ধে ১২০ বি, ৫০৬, ১৫৩ এবং ৩০৭ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। আজ রাতে পুলিশ হেফাজতেই রাত কাটাতে হবে তৃণমূলের যুব নেত্রীকে।
গ্রেফতারির পর বিরক্ত সায়নী জানিয়েছেন, “রাজনৈতিক লড়াই জিনিসটা বিজেপির সিলেবাসে কোনদিনও ছিল না এবং ভবিষ্যতেও থাকবে না। ক্ষমতার দম্ভে, প্রশাসন ও গুন্ডাবাহিনীকে ব্যবহার করে, ভয় দেখিয়ে ভারতবর্ষের মানুষকে চুপ করিয়ে রাখা যাবে না। গণতন্ত্রকে এভাবে ভুলুণ্ঠিত হতে তৃণমূলের সৈনিকরা দেবে না।”
রবিবার সকাল ১১টা নাগাদ আগরতলার এক বেসরকারি হোটেলে পৌঁছায় ত্রিপুরার মহিলা পুলিশের এক বিশাল বাহিনী। সেখানেই ছিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh), সাংসদ সুস্মিতা দেব (Sushmita Dev), সায়নী ঘোষ সহ তৃণমূল নেতৃত্ব। হোটেল কর্মচারীদের কাছে খবর পেয়ে একে একে সেখানে এসে হাজির হন তৃণমূল নেতৃত্ব। পুলিশের কাছে তাঁরা জানতে চান হঠাই করে কী কারণে তাদের এই আগমণ। পুলিশ আধিকারিকরা জানান সায়নী ঘোষকে একবার থানায় যেতে হবে, তাঁর সঙ্গে কিছু কথা বলার রয়েছে পুলিশের।
জানা গিয়েছে, সায়নীর বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন বিশ্বজিৎ দেবনাথ নামে এক ব্যক্তি। সায়নীর বিরুদ্ধে যে গাড়ি দিয়ে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে, তার সূত্রপাত গতকাল। শনিবার ত্রিপুরার চৌমহনি এলাকায় শাসক দলের একটি সভার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন সায়নী। শোনা যাচ্ছে, সেই সময় ত্রিপুরার শাসক দলের উদ্দেশে নাকি তৃণমূল যুব নেত্রী বলেছিলেন, “ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর সভায় হাতে গুনে ৫০ জন লোক। এর থেকে বেশি আমাদের প্রার্থীদের সভায় দেখা যাচ্ছে।” সূত্রের খবর, এরপরই সেখানে উপস্থিত বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে তাঁর বচসা শুরু হয়। তখন ভিড়ের মধ্যে থেকে জোরে গাড়ি চালিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন সায়নী। ঘটনায় কয়েকজন জখম হয়েছেন বলে দাবি বিজেপির।