CPIM in Burdwan: ‘রণংদেহী’ বামেদের ঠেকাতে কড়া পুলিশ, আইন-অমান্য কর্মসূচির পর বর্ধমানে গ্রেফতার আরও ২

CPIM in Burdwan: বর্ধমানে বামেদের আইন-অমান্য কর্মসূচিতে ধুন্ধুমার, গ্রেফতার আরও ২।

CPIM in Burdwan: ‘রণংদেহী’ বামেদের ঠেকাতে কড়া পুলিশ, আইন-অমান্য কর্মসূচির পর বর্ধমানে গ্রেফতার আরও ২
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 04, 2022 | 5:05 PM

পূর্ব বর্ধমান: কয়েকদিন বর্ধমানে বামেদের(CPIM) আইন-অমান্য কর্মসূচি এখনও বঙ্গ রাজনীতির চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। রণংদেহী বাম কর্মী সমর্থকদের নিয়ে জোর চর্চা চলছে নানা মহলে। এদিকে ৩১ আগস্ট বর্ধমানে বামেদের আইন অমান্য কর্মসূচির ঘটনায় পুলিশ ৪৬ জনকে গ্রেফতার করেছিল। ধৃতদের মধ্যে সিপিএমের (CPM) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আভাস রায় চৌধুরী ছাড়াও ছিলেন SFI-এর পূর্ব বর্ধমান জেলার সম্পাদক অনির্বাণ রায় চৌধুরী সহ একাধিক CPIM কর্মী-সমর্থক। এই ঘটনায় ৩৪ জনের ইতিমধ্যেই ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে রয়েছে। এবার ফের গ্রেফতার হলেন আরও দুজন বাম-কর্মী সমর্থক।

সূত্রের খবর, ২ ধৃতর মধ্যে একজনের জামিন হলেও অন্যজনের তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অন্যদিকে, ইতিমধ্যেই ১ সেপ্টেম্বর চার দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়েছিল ৭ জনকে। এদিন তাঁদের ফের তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। গত বুধবার বর্ধমানে বামেদের আইন অমান্য কর্মসূচি ঘিরে কার্য ধুন্ধুমার কাণ্ড বেঁধে যায় কার্জন গেট চত্বরে। পুলিশের সঙ্গে সিপিএম কর্মীদের খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। ভাঙচুর করা হয় বিশ্ব বাংলা লোগো লাগানো গ্লোব, রাস্তার দুই পাশে থাকা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ছবি লাগানো একাধিক প্ল্যাকার্ডে। ভাঙচুর চালানো হয় পুলিশের বেশ কয়েকটি গাড়ি ও মোটর সাইকেলেও।

বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী আন্দোলনকারীদের মারে আহত হন বলেও অভিযোগ। অন্যদিকে আন্দোলনকারীদের বাগে আনতে লাঠি চার্জ করে পুলিশ। পুলিশের তরফ থেকে জল কামান ব্যবহার করা হয়। কাঁদানে গ্যাসে শেলও ফাটানো হয়। এই ঘটনার পরই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার জন্য নবান্ন থেকে পুলিশ-প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই জোরকদমে শুরু হয় ধরপাকড়। এদিকে বামেদের এই কর্মসূচির পর থেকেই সিপিএমের বিরুদ্ধে লাগাতার তোপ দাগতে থাকেন শাসকদলের নেতারা। দু’দিন আগেই বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক খোকন দাস বলেন, “বাংলাকে আমরা শান্তিতে রাখতে চাই। নাহলে পাঁচ মিনিটের মধ্যে বর্ধমান শহরের সিপিএমের সব পার্টি অফিস গুঁড়িয়ে দিতে পারি। সিপিএম নতুন খেলা শুরু করেছে। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম রাজ্যের যেখানে যাচ্ছেন, সেখানে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছেন।”