Burdwan Chaos: পরিচারিকার সঙ্গে থাকতেন বৃদ্ধ চিকিৎসক, বেঙ্গালুরু থেকে ফিরে স্ত্রী ও দুই মেয়ে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সম্মুখীন

Burdwan Chaos: খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মেমারি থানার পুলিশ। ওই চিকিৎসকের বাড়ির চাবি, এটিএম কার্ড, প্রেসক্রিপশন সব কিছু তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার করে পরিচারিকাকে এই মুহূর্তে বাড়ি ছেড়ে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

Burdwan Chaos: পরিচারিকার সঙ্গে থাকতেন বৃদ্ধ চিকিৎসক, বেঙ্গালুরু থেকে ফিরে স্ত্রী ও দুই মেয়ে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সম্মুখীন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 03, 2022 | 1:24 PM

বর্ধমান: বাড়ির পরিচারিকাকে নিয়ে স্ত্রীয়ের সঙ্গে ঝামেলা হত চিকিৎসকের। ‘ডাক্তারবাবু’র স্ত্রী সেই অশান্তি সহ্য করতে না পেরেই চলে গিয়েছিলেন হায়দরাবাদে মেয়ের কাছে। হায়দরাবাদে চিকিৎসকের বড় মেয়ে চাকরি করেন। ছোটো মেয়ে চাকরি করেন বেঙ্গালুরুতে। ইতিমধ্যেই খবর পেয়েছিলেন, তাঁদের বাবা সম্পত্তি লিখে দিয়েছেন পরিচারিকার নামেই। এমনকি তাঁকে নিয়েই সংসার করছেন। বাড়ি বিক্রির পরিকল্পনাও চলছিল। সেই খবর পেয়ে বাড়িতে আসেন দুই মেয়ে। আর তাতেই ধুন্ধুমারকাণ্ড। অভিযোগ, পরিচারিকার মারে মাথা ফাটল চিকিৎসকের মেয়ের। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

মেমারি পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা চিকিৎসক পার্থ সারথী দাস। তাঁর স্ত্রীয়ের বয়ান অনুযায়ী, অনেক বছর আগেই এই পরিচারিকা বাড়িতে কাজে ঢুকেছিলেন। তারপর চিকিৎসকের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। পরিচারিকাকে নিয়ে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়াও করেছেন তিনি। কিন্তু একই বাড়িতে পরিচারিকার সঙ্গে স্বামীর ঘনিষ্ঠতা মেনে নিতে পারেননি তিনি।

চিকিৎসকের স্ত্রী তখন হায়দরাবাদে তাঁর বড় মেয়ের কাছে গিয়ে থাকতে শুরু করেন। এরই মধ্যে খবর পান সমস্ত সম্পত্তি পরিচারিকার নামে লিখে দিয়েছেন চিকিৎসক। বাড়ি বিক্রিরও পরিকল্পনা চলছিল বলে খবর। তাই মেয়েকে নিয়ে ফের বাড়িতে আসেন চিকিৎসকের স্ত্রী।

অভিযোগ, পরিচারিকা ও তাঁর দাদা ঘরের দরজা আটকে দাঁড়ান। তাঁদেরকে ভিতরে ঢুকতে দিচ্ছিলেন না। চিকিৎসকের ছোটো মেয়ে জোর করে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করলে মেরে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

চিৎকার চেঁচামেচি শুনে স্থানীয় বাসিন্দারাও জড়ো হয়ে যান। তাঁরা প্রত্যেকেই চিকিৎসকের স্ত্রী ও মেয়েদের পাশে দাঁড়ান। মেমারি হাসপাতালে ছোটো মেয়ের চিকিৎসা করিয়ে মেমারি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর মেমারি পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সোনালি বাগ, তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা সুজয় দাস ঘটনাস্থলে যান।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মেমারি থানার পুলিশ। ওই চিকিৎসকের বাড়ির চাবি, এটিএম কার্ড, প্রেসক্রিপশন সব কিছু পরিচারিকা ও তাঁর দাদার কাছ থেকে উদ্ধার করে  এই মুহূর্তে বাড়ি ছেড়ে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়। ডাক্তারবাবুর স্ত্রী ও মেয়েরা অভিযোগ করেন, এই পরিচারিকা তাঁদের অবর্তমানে বাবার কাছ থেকে সমস্ত টাকা-পয়সা বিষয় সম্পত্তি হাতিয়ে নিয়েছে। ওই পরিচারিকার বক্তব্য, তিনি তেমন কিছুই করেননি। চিকিৎসক কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি।

চিকিৎসকের স্ত্রী বলেন, “আমার বৈবাহিক জীবন ৩৯ বছর। চাকরির জন্য দুই মেয়ে বাইরে থাকে। এই মেয়েটিকে ছোট থেকে চিনতাম। আমি ওকে জামাকাপড় দিতাম, গান শেখাতাম। বিয়ে হয় ওর। তারপর শ্বশুরবাড়ি থেকে একদিন চলে আসে। আমার বাড়িতে কাজ শুরু করে। আমার স্বামীর দেখভাল শুরু করে। তারপর দেখি আমার স্বামীকে কবজা করে নেয়। আমি ২০১৯ সালে এখান থেকে চলে যাই। এরপর শুনছি বাড়িটাই বেচে দেবে ওর কথা শুনে।”