Burdwan Potato: হিমঘরে রাখা আলু পচছে, ক্ষতিপূরণের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ

Burdwan Potato: এখানে উল্লেখ্য, মেমারির রসুলপুর এলাকার তিরুপতি হিমঘরে গত ১৯ মে রসুলপুর তিরুপতি হিমঘরে আলু ছাড়াতে গিয়ে চাষিরা দেখেন হিমঘরের ৩ নম্বর চেম্বার ও ২ নম্বর চেম্বারের শেডে ফেলার পর দেখা যায় আলু পচে গিয়েছে।

Burdwan Potato: হিমঘরে রাখা আলু পচছে, ক্ষতিপূরণের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 15, 2022 | 8:42 AM

বর্ধমান: জেলা প্রশাসনের বৈঠকেও তেমন কোন সমাধান সূত্র না মিলল না। ফলে চরম হতাশ পূর্ব বর্ধমানের মেমারির আলুচাষিরা। বুধবারই হিমঘরে রাখা আলু পচে যাওয়ায় ক্ষতিপূরণের দাবিতে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান চাষিরা। মেমারির রসুলপুরের তিরুপতি হিমঘরে আলু রেখেছিলেন চাষিরা।  কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে প্রায় এক লক্ষ প্যাকেট আলু নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে চাষিদের দাবি। হিমঘর মালিক প্রথমে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি প্রতিশ্রুতি রাখেননি। তেমনটাই অভিযোগ চাষিদের।

কয়েকদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বর্ধমানে জেলা সফরে গিয়ে ওই হিমঘর মালিকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এদিকে আলুর ক্ষতিপূরনের টাকা না পেয়ে ইতিমধ্যেই হিমঘর মালিকের বিরুদ্ধে মেমারি থানায় প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছেন কৃষকরা।

এখানে উল্লেখ্য, মেমারির রসুলপুর এলাকার তিরুপতি হিমঘরে গত ১৯ মে রসুলপুর তিরুপতি হিমঘরে আলু ছাড়াতে গিয়ে চাষিরা দেখেন হিমঘরের ৩ নম্বর চেম্বার ও ২ নম্বর চেম্বারের শেডে ফেলার পর দেখা যায় আলু পচে গিয়েছে। হিমঘর কর্তৃপক্ষের গাফিলতির ফলেই ১ লক্ষ ১৫ হাজার প্যাকেট আলু নষ্ট হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন চাষিরা।

চাষিদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে গত ৬ জুন হিমঘর কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসন ও চাষিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সেই বৈঠকে জেলা প্রসাশনের আধিকারিকদের পাশাপাশি স্থানীয় বিধায়ক ও মার্কেটিং ম্যানেজার উপস্থিত ছিলেন।  বৈঠকে স্থির হয় ক্ষতিপূরণ বাবদ চাষিদের ৮৯০ টাকা প্রতি প্যাকেট দেওয়া হবে। ক্ষতিপূরণের দিন ধার্য হয় ২১ জুন ।

চাষিদের অভিযোগ, নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত হিমঘর কর্তৃপক্ষ তাদের টাকা মেটানোর জন্য কোন আগ্রহ দেখাচ্ছে না। এমনকি উল্টে হিমঘর মালিক হাইকোর্ট মামলা দায়ের করেছেন। এমতাবস্থায় বিপাকে পড়েছে এই হিমঘরে আলু রাখা কৃষকরা।

বৃহস্পতিবার জেলাশাসকের দফতরে বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা, পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন, আলুচাষিদের প্রতিনিধি ও হিমঘর মালিক। বৈঠক শেষে হিমঘর মালিক সিদ্ধার্থ ভট্ট বলেন, “দুদিন সময় নিয়েছি। কিছু টাকা মেটানোর আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। চাষিরা জানান তাঁরা হতাশ। সামনেই ধান চাষ। এখন টাকা না পেলে চাষাবাদ করতে পারবো না।” তবে ৪৮ ঘণ্টা সময় চেয়েছে মালিকপক্ষ। তাঁদের আশা নিশ্চয় কিছু একটা সূত্র বের হবে। জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা বলেন, “৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সমাধান হবে।”