Burdwan Suicide: বাড়ি থেকে বেরিয়ে স্কুলে যাওয়ার নাম করে গ্রামের বাড়িতে যান, প্রাইমারি শিক্ষককে যে অবস্থায় দেখলেন পড়শিরা
Burdwan Suicide: ভাতারের সেরুয়া গ্রামের প্রাথমিক স্কুলে তিনি শিক্ষকতা করতেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন।
ভাতার: গলায় ফাঁস লাগিয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যু প্রাথমিক স্কুলের এক শিক্ষক। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, অবসাদের জেরেই আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। মৃতের নাম শ্যামলকান্তি ঘোষ ( ৫৮)। বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের সাহেবগঞ্জ গ্রামে। শ্যামলবাবু পেশায় স্কুলশিক্ষক। ভাতারের সেরুয়া গ্রামের প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করতেন তিনি। পরিবার সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরে তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন।
প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবারও তিনি স্কুলের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। স্কুলে না পৌঁছে সাহেবগঞ্জের গ্রামের বাড়িতে যান। গ্রামে দোতালা পাকা বাড়ি রয়েছে। সেই বাড়িতে তাঁকে ঢুকতেও দেখেছিলেন প্রতিবেশীরা। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ তাঁকে বের হতে দেখেননি কেউ। তখনই সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। ঘরের ভিতরে ঢুকতে গিয়ে তাঁরা দেখেন, দোতলার ঘরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন ওই ব্যক্তি। জানা গিয়েছে, আউসগ্রামের গুসকরা শহরে শ্যামলের একটি বাড়ি রয়েছে। সপরিবারে সেখানে থাকতেন তিনি। সাহেবগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে মাঝেমধ্যেই আসা যাওয়া ছিল তাঁর।
শ্যামলবাবুকে পাড়া-প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে ভাতার হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠান।সেখানেই কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ভাতার থানায় নিয়ে যায় এবং মঙ্গলবার দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় বর্ধমান পুলিশ মর্গে। ঘটনায় শোকস্তব্ধ পরিবার। পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
ওই প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক কেন আত্মঘাতী হয়েছেন, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। জানা গিয়েছে, সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান শ্যামলকান্তি। তাঁর সন্তান-স্ত্রী রয়েছে। শ্যামলকান্তির বাবাও কয়েক বছর আগে আত্মঘাতী হয়েছিলেন। জানা যাচ্ছে, শ্যামলকান্তি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। তিনি কলকাতায় সে কারণে চিকিৎসাও করাতে আসতেন। সেই মানসিক অবসাদ থেকেই আত্মহত্যা বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।