Burdwan University: ফর্ম ফিলআপ নিয়ে ধুন্ধুমার ইউআইটিতে, নামাতে হল RAF, মোতায়েন বিশাল পুলিশবাহিনী
Burdwan: বৃহস্পতিবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটে। কী থেকে ঝামেলার সূত্রপাত? প্রতিষ্ঠান সূত্রে খবর, এদিন সকালে একটি অনলাইন বৈঠক হয়।
পূর্ব বর্ধমান: ইউআইটিতে তুমুল অশান্তি ছড়াল বৃহস্পতিবার। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির UIT, BU) কর্মী ও নিরাপত্তারক্ষীদের একাংশের বিরুদ্ধে শিক্ষকদের মারধরের অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় দু’জন শিক্ষক এবং একজন অশিক্ষক কর্মী আহত হন বলে সূত্রের দাবি। এই ঘটনায় দুই মহিলাকে কটূক্তি করা হয় বলেও অভিযোগ। বর্ধমান থানায় দু’পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেছে। শুরুতে এই ঝামেলা শিক্ষক, নিরাপত্তারক্ষীদের মধ্যে থাকলেও পরবর্তীকালে তাতে ছাত্ররাও জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি এতটাই বেসামাল হয় যে ক্যাম্পাসে পুলিশ ঢোকে, নামে র্যাফ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটে। কী থেকে ঝামেলার সূত্রপাত? প্রতিষ্ঠান সূত্রে খবর, এদিন সকালে একটি অনলাইন বৈঠক হয়। মূলত পড়ুয়াদের ফর্মফিলাপ সংক্রান্ত বিষয়ে এই বৈঠক করা হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, টাকা জমা না দিতে পারায় যাঁরা এখনও ফর্ম পূরণ করতে পারেননি, তাঁদের আরও এক মাস সময় দেওয়া হবে। শিক্ষক পার্থপ্রতীম সরকার ও অপূর্ব ঘোষ মূলত এই প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এদিকে তাঁরা যখন কলেজে আসেন, তখন তাঁদেরই মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকী এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পড়ুয়ারাও দু’টি দলে বিভক্ত হয়ে গিয়ে হাতাহাতি শুরু করেন বলে অভিযোগ।
কলেজের দুই কর্মী অমিয়প্রসাদ ঘোষ ও প্রীতম দে কলেজের শিক্ষক অপূর্ব ঘোষ এবং পার্থপ্রতিম সরকারকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। মারধর করা হয় কমলকৃষ্ণ দাস নামে অ্যাকাউন্ট বিভাগের এক কর্মীকে। আহতদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসার পর বর্ধমান থানায় দুই পক্ষই আলাদা করে অভিযোগ দায়ের করেন।
আহত শিক্ষক পার্থপ্রতিম সরকার বলেন, কিছু পড়ুয়ার স্কলারশিপের টাকা না আসায় তাঁরা ফি দিয়ে ফর্ম ফিলাপ করতে পারেননি। শুক্রবার ফর্ম ফিলাপের শেষ তারিখ। সোমবার পরীক্ষা। তাই এদিন সকালে অনলাইনে একটি বৈঠক করে ঠিক হয় যে, ওই পড়ুয়ারা একমাসের মধ্যে টাকা দিয়ে দেবেন। এই মর্মে লিখিত দিলে তাঁদের ফর্ম ফিলাপের সুযোগ দিয়ে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে। কেন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল তা নিয়েই কলেজে এলে বিরোধিতার মুখে পড়েন বলে অভিযোগ তাঁর।
এদিকে প্রীতম দে’র বক্তব্য, “এই সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। কাউকে মারধর করা হয়নি। হঠাৎ করে একটা কমিটি থেকে কিছু একটা সুপারিশ এল, সেখানে অনুমতি দিয়ে দিলেন আহ্বায়ক। কিন্তু সেখানে তো যুগ্ম আহ্বায়কও আছেন। তাঁর সই ছাড়া কীভাবে ফর্ম ফিলআপ সংক্রান্ত একটা সিদ্ধান্ত হতে পারে? আর যেখানে কোভিড প্রোটোকল নেই সেখানে হঠাৎ আজ কেন অনলাইন মিটিং ডাকা হল সেটাও স্পষ্ট হল না। আমরা তো সকলে কলেজেই ছিলাম। পরীক্ষা চলছে। বুধবার একটা কমিটি একরকম সিদ্ধান্ত নিল, আবার বৃহস্পতিবার আরেকটা অনলাইন মিটিংয়ে আরেক সিদ্ধান্ত, এটা বুঝতে চেয়েছিলাম। তর্ক বিতর্ক হতেই পারে। তা বলে পড়ুয়াদের যুক্ত করে দেবেন, এটা তো হয় না।” এই ঘটনার পর কলেজে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।