Burdwan: ‘পিঙ্কি নিয়ে যাও…’, বলার পরই সেই রাতে কেটে গিয়েছিল ফোনটা, তারপর…
Burdwan: কালনার সূর্যপুর এলাকার বাসিন্দা সুভাষ ঘোষ। তিনি তাঁর স্ত্রী এবং তাঁর শিশুকন্যাকে নিয়ে বাঘনাপাড়ার পাতাইগাছি এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়ায় থাকতেন। পেশায় লরিচালক তিনি।
কালনা: নিখোঁজ স্বামীকে খুঁজতে বছর তিনেকের মেয়েকে সঙ্গী করে পথে-ঘাটে ঘুরছেন অসহায় স্ত্রী। স্বামীর ছবি দেখিয়ে খোঁজার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। পূর্ব বর্ধমানের বাঘনাপাড়ার পাতাইগাছি এলাকার বাসিন্দা পিঙ্কি ঘোষ। ইতিমধ্যেই কালনা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছেন ওই গৃহবধূ। তবে তাঁর অভিযোগ থানাতেও ঠিক মতো সহযোগিতা করা হচ্ছে না তাঁকে।
কালনার সূর্যপুর এলাকার বাসিন্দা সুভাষ ঘোষ। তিনি তাঁর স্ত্রী এবং তাঁর শিশুকন্যাকে নিয়ে বাঘনাপাড়ার পাতাইগাছি এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়ায় থাকতেন। পেশায় লরিচালক তিনি। গত ২৪ নভেম্বর সুভাষ ঘোষ আর পাঁচটা দিনের মতো কালনার খেয়াঘাট সংলগ্ন এলাকা থেকে গাড়ি নিয়ে কাজে যাবেন বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন।
এরপর ওই রাতেই তিনি তাঁর স্ত্রীকে ফোন করে জানান যে তিনি কাজে আটকে পড়েছেন। এই কথা বলার পরই ফোনটি কেটে যায়। তারপর থেকেই ফোনের সুইচ অফ। এরপর গত ২৫ তারিখ কালনা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করেন ওই গৃহবধূ। থানা থেকে কোনও সুরাহা না হওয়ায় কালনার পথে-ঘাটে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ও গৃহবধূ। তিনি তাঁর স্বামীর ছবি দেখিয়ে মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে স্বামীর খোঁজ চালাচ্ছেন।
গৃহবধূ জানান, মেয়েকে নিয়ে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকেন তিনি। তিনি আরও জানান, নিখোঁজ হওয়ার দিন রাতে তাঁর কাছে একটি ফোন এসেছিল। তাঁর স্বামী শুধু বলেছিলেন, ‘পিঙ্কি আমি আটকে পড়েছি। আমাকে নিয়ে যাও।’ তারপর কেটে যায় ফোন। দু দিন পর আবারও একটি ফোন আসে। তবে ওপার থেকে কে কথা বললেন, কী বললেন, তা বোঝা যায়নি।