Hare School Teacher Suicide: আত্মঘাতী হেয়ার স্কুলের প্রাক্তন হেডমাস্টার, পেনশন না পেয়েই কি আত্মহত্যা শিক্ষারত্ন শিক্ষকের?

Purba Bardhaman: মৃতের নাম সুনীল কুমার দাস (৬৩)। তাঁর মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া পূর্ব বর্ধমানের দেবীপুরের রাজবাগান এলাকায়।

Hare School Teacher Suicide: আত্মঘাতী হেয়ার স্কুলের প্রাক্তন হেডমাস্টার, পেনশন না পেয়েই কি আত্মহত্যা শিক্ষারত্ন শিক্ষকের?
সুনীল কুমার দাস (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 17, 2022 | 4:50 PM

পূর্ব বর্ধমান: মানসিক অবসাদে আত্মঘাতী হেয়ার স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক। ২০১৯ শিক্ষারত্ন উপাধি পেলেও অবসরের তিনবছর পরেও জোটেনি পেনশন। তার জেরেই মানসিক অবসাদ বলে মনে করছেন পরিজনরা।

মৃতের নাম সুনীল কুমার দাস (৬৩)। তাঁর মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া পূর্ব বর্ধমানের দেবীপুরের রাজবাগান এলাকায়। পরিবার সূত্রে খবর, বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষকতা করার পর শেষমেশ কলকাতার হেয়ার স্কুলে পড়াচ্ছিলেন তিনি। সেখান থেকেই তিনবছর আগে অবসর গ্রহণ করেন। পারিবারিক কোনও অশান্তি ছিল না বলে খবর।

সুনীলবাবুর পরিবারে দুই মেয়ে রয়েছে। দু’জনরই বিয়ে হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও এক ছেলে রয়েছে। তিনি পিএইচডি সম্পূর্ণ করেছেন। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার নিজের বাড়িতেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য, তিনি তাঁর মনের কথা কাউকেই জানতে দেননি। ধীরে-ধীরে মুষড়ে পড়ছিলেন। শেষমেশ এমন মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত নেন। জানা গিয়েছে, সুনীলবাবু ২০১৯ সালে শিক্ষারত্ন উপাধি পান।

প্রয়াত শিক্ষকের স্ত্রী বলেন, ‘মাঝে-মধ্যেই বিকাশ ভবনে যেতেন। কারোর সঙ্গে দেখা করতেন। কিন্তু কোনও কাজ হচ্ছিল না। আমার মনে হয় পেনশনের জন্যই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। এই বিষয়ে আমার সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা করেছিলেন যে পেনশন পেতেন না ঠিকমত। সংসার চলবে কী করে। আমরা চাই উনি অন্তত পেনশনটুকু পান।’ প্রয়াত শিক্ষকের আত্মীয় বলেন, ‘অবসর গ্রহণের তিন বছর পরও মেলেনি পেনশন। সেই কারণে মানসিক রোগে ভুগছিলেন তিনি। উনি খুবই ভাল। ওনার কাছে আমরা পড়াশোনা করেছি। আমাদের খুবই খারাপ লাগছে। ওনার স্ত্রী, ছেলে রয়েছে। সেই কারণে যদি পেনশনের বন্দোবস্ত করা হয় তাহলে পরিবার উপকৃত হবে।’

শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার বলেন, ‘তোলা না দিলে সরকারি কর্মচারি পেনশন পাবেন না। এমনটাই ইঙ্গিত এই ঘটনায়। এর জন্য অবিলম্বে বিচার বিভাগীয় তদন্ত হওয়া দরকার। পার্থবাবুদের মতো অনেকের দশা দেখেও শিক্ষা হয়নি। এখনও চলছে তোলাবাজির খেলা।সেই কারণে বিচার বিভাগীয় তদন্ত হওয়া উচিত।’

এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে শিক্ষা দফতর। জরুরি ভিত্তিতে কমিটি গঠন করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। জানা গিয়েছে, স্কুল শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের পাশাপাশি কমিটিতে থাকবেন অর্থ দফতরের আধিকারিকরাও।