TMC in Burdwan: বর্ধমানে বেআব্রু তৃণমূলের দুই ‘গোষ্ঠীর সংঘর্ষ’, ‘স্থানীয় ঝামেলা’ বলে দায় সারছেন মুখপাত্র

Purba Bardhaman: জেলা পরিষদের সদস্য নুরুল হাসান অভিযোগ করেন, ব্লক সভাপতি কাকলি তা এবং যুব সভাপতি মানস ভট্টাচার্যর অনুগামীরা এই হামলা চালিয়েছে।

TMC in Burdwan: বর্ধমানে বেআব্রু তৃণমূলের দুই ‘গোষ্ঠীর সংঘর্ষ’, 'স্থানীয় ঝামেলা' বলে দায় সারছেন মুখপাত্র
তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের অভিযোগ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 04, 2022 | 12:27 PM

বর্ধমান: ফের তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের (TMC in-fights) অভিযোগ। এবার বর্ধমান (Burdwan) ১ ব্লকের ভোতারপাড় এলাকায়। শনিবার রাতে এলাকায় তৃণমূলের একটি গোষ্ঠীর পার্টি অফিসে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল অপর এক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। সেখানে এক ব্যক্তিকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের সদস্য নুরুল হাসান অভিযোগ করেন, ব্লক সভাপতি কাকলি তা এবং যুব সভাপতি মানস ভট্টাচার্যর অনুগামীরা এই হামলা চালিয়েছে।

নুরুল হাসান এবং রায়ান ১ পঞ্চায়েতের প্রধান শেখ আলমগীর বলেন, এই অঞ্চলে ১৯৯৮ সাল থেকে তৃণমূল কংগ্রেস জয়লাভ করে আসছে। এটা তৃণমূল কংগ্রেসের শক্ত ঘাটি। তাঁদের অভিযোগ, তাঁদের না জানিয়ে এখানে একটি মঞ্চ তৈরি হয়েছে এবং সেখান থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের নাম করে বস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি করা হচ্ছে। তাঁদের অভিযোগ, আগে যে সকল সিপিএমের কর্মীরা এই অঞ্চল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তাদের কাছে হেরেছিলেন, সেই সিপিএমের কর্মীদের দিয়ে কম্বলের কুপন বিলি করিয়েছেন ব্লক সভাপতি ও যুব সভাপতি। তারা এই এলাকাকে উত্তপ্ত করতে চাইছেন বলে অভিযোগ নুরুল হাসান ও শেখ আলমগীর হাসান।

যদিও কাকলি এই বিষয়ে বলেন, “ওখানে একটি মঞ্চ আমাদের তৈরি করা হয়েছিল। আমরা গরিব মানুষদের কম্বল দেওয়ার জন্য একটি প্রোগ্রাম করেছি। কয়েকদিন আগেও ওরা আমাদের না জানিয়ে একটি প্রোগ্রাম করেছিল। এমন পরিস্থিতিতে কম্বল দেওয়ার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। সেটি পার্টি অফিস থেকে প্রায় দেড়শো ফুট দূরে। সেখানে আমাদের ছেলেরা মঞ্চ দেখতে গেলে, তাঁদের গালিগালাজ করা হয়েছিল। এই সাজানো ঘটনার কোনও ব্যাখ্যা দিতে পারব না।”

এদিকে এই বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়কেও জানানো হয়েছে বলে দাবি করেন নুরুল হাসান ও শেখ আলমগীররা। তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস অবশ্য গোটা বিষয়টিকে স্থানীয় ঝামেলা বলেই দায় সেরেছেন। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই বলেই দাবি তাঁর। যদিও বিজেপি শিবির এই নিয়ে পাল্টা খোঁচা দিতে ছাড়েনি। স্থানীয় নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, “পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসবে… কাটমানি, তোলাবাজির ভাগবাটোয়ারা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলে বাংলার মানুষ শান্তিতে থাকতে পারবে না।”