Mamata Banerjee: ‘আমার বাড়িতে যে কাজ করে, তারও দোতলা বাড়ি আছে’, কেন বললেন মমতা?
Mamata Banerjee: জেলায় জেলায় একাধিক তৃণমূল নেতার পেল্লায় বাড়ি নজর কাড়ে। তাঁদের আয় নিয়েও অনেক সময় প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা।
পূর্ব বর্ধমান : কারও বাড়ি মার্বেলে মোড়া, কারও গ্যারেজে দামি দামি গাড়ি, কারও বাড়ি-জমি.র হিসেব কষতে বসলে দিন পেরিয়ে যায়। শাসক দলের অনেক নেতার সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন সময়ে। সম্প্রতি তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীর সম্পত্তির হিসেব দেখে চোখ কপালে উঠেছে গোয়েন্দা কর্তাদেরও। কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করলেন, নেতাদের বড় বাড়ি থাকতেই পারে, তাতে কোনও অন্যায় নেই। এমনকি তাঁর বাড়িতে যিনি কাজ করেন, তাঁরও দোতলা বাড়ি আছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানের সভা থেকে এই বার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এ দিন মমতা বলেন, ‘কোন পঞ্চায়েত প্রধানের বড় বাড়ি রয়েছে, তা নিয়ে চর্চা হয়, কিন্তু পঞ্চায়েত প্রধান যখন দিন মজুরের কাজ করে, ক্ষেত মজুরের কাজ করে, তা নিয়ে কেউ আলোচনা করে না।’ মমতার দাবি, একজনকে দিয়ে পুরোটা বিচার করা উচিত নয়। মুখ্যমন্ত্রী আরও দাবি করেন, আগে যেখানে গ্রামে শুধু মাটির বাড়ি থাকত, এখন সেখানে মানুষ পাকা বাড়ি বানাচ্ছে, আবার কোথাও কোথাও সরকারও তৈরি করে দিচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন, তাঁর বাড়িতে যিনি কাজ করেন, তাঁরও দোতলা বাড়ি রয়েছে, কিন্তু তিনি কোনও পঞ্চায়েতে নেই।
মমতার কথায়, চাকরির টাকা জমিয়ে কেউ বাড়ি করতেই পারে। কেউ দুর্নীতি করলে তাঁকে ধরা উচিত, কিন্তু তাই বলে পঞ্চায়েত প্রধানে বড় বাড়ি থাকাটা অন্যায়, এটা তিনি মনে করেন না।
সেই সঙ্গে দলীয় কর্মীদের প্রচ্ছন্ন বার্তাও দিয়েছেন মমতা। তিনি বলেছেন, ‘সব লোক খারাপ নয়। একজন-দুজন লোভী হয়, তাঁদের বিরুদ্ধেই আমার লড়াই। আমি পঞ্চায়েতে এমন কর্মী চাই, যিনি মানুষের পাশে দাঁড়াবেন।’ নিজের জন্য করে কোনও লাভ নেই বলে বার্তা দিয়েছে মমতা। তিনি বলেন, ‘আমি মাঝে মাঝে ভাবি, আমি না থাকলে বাড়িটার কী হবে, মানুষ তো আজ আছে, কাল নেই!’ তাই মানুষের জন্য কাজ করার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।