Post Poll Violence Case: শুধু অনুব্রত নয়, ববি-অরূপের পিএ-কেও ফোন করেছেন, সিবিআই হাজিরা নিয়ে মন্তব্য টোটো চালকের
Ketugram: সূত্রের খবর, ৬ জুন সিবিআই-এর ডেপুটি সুপারিন্টেন্ডেন্ট অব পুলিশ কেপি শর্মা অজয় দাসের মোবাইলে মেসেজ করেন। এবং তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দেন।
কেতুগ্রাম: কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (CBI)-এর নজরে এবার কেতুগ্রামের টোটো চালক। বীরভূম তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে ফোন করার জন্য তলব করা হয়েছে তাঁকে। ১৬ই জুন দুর্গাপুরের এনআইটি অস্থায়ী ক্যাম্পে ডেকে পাঠানো হয়েছে তাঁকে।
ওই ব্যক্তির নাম অজয় দাস। পেশায় টোটো চালক। তিনি পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের নৈহাটির বাসিন্দা। তাঁকেই হাজিরার নোটিস দিয়েছে সিবিআই। সূত্রের খবর, ৬ জুন সিবিআই-এর ডেপুটি সুপারিন্টেন্ডেন্ট অব পুলিশ কেপি শর্মা অজয় দাসের মোবাইলে মেসেজ করেন। এবং তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, অজয় দাস একজন সাধারণ টোটো চালক। সক্রিয়ভাবে তিনি কোনও রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন। এলাকার বিভিন্ন সমস্যার সংক্রান্ত নানা বিষয়ে সমাধানের জন্য তিনি রাজ্যের বিভিন্ন নেতা-মন্ত্রীকে ফোন করে থাকেন। সেই সুবাদেই তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে ফোন করেন। বিধানসভা নির্বাচনের পর অনুব্রত মণ্ডলকে ফোন করেছিলেন বলে জানান অজয় দাস।
অজয় দাসের বাবা জানান, ‘ও অনুব্রত বাবুকে ফোন করেছিল। সেই জন্যই হয়ত ওকে ডেকে পাঠিয়েছিল। সিবিআই ডেকেছে যেতে হবে। কিন্তু ও নির্দোষ। ও কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই যুক্ত নয়। শুধু ফোন করেছিল।’ অন্যদিকে, অজয় দাস বলেন, ‘আমাকে ঠিক কী কারণে ডাকল বলতে পারব না। আমি শুধু অনুব্রতবাবুকে ফোন করেছিলাম। আমার বাড়ি, রাস্তা এই সব কিছুই ঠিক নেই। সেই কারণে ফোন করেছিলাম। শুধু অনুব্রত বাবু নয়, ববি হাকিমের পিএ, অরূপ বিশ্বাসের পিএ-কেও ফোন করেছিলাম।’
বস্তুত, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে তলব করা হয়েছিল আগেই। এরপর থেকে সিবিআই-এর অস্থায়ী অফিসে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ একাধিক নেতা-বিধায়ককে তলব করে সিবিআই। গত মঙ্গলবার বীরভূমের জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরীকে তলব করা হয়। দুর্গাপুরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে সিবিআইয়ের সিবিআই অস্থায়ী ক্যাম্পে। এর আগে অর্থাৎ সোমবার হাজিরা দিয়েছিলেন ময়ূরেশ্বরের বিধায়ক অভিজিৎ রায়। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই এই মামলার তদন্ত শুরু করেছে।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পরই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভোট পরবর্তী হিংসার খবর আসে। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় তদন্ত করছে সিবিআই। এর আগেও দুর্গাপুরের এনআইটি-র ক্যাম্পাসে বীরভূম ও বর্ধমানের প্রায় ৮ জন বিধায়ক ও ব্লক সভাপতি-সহ তৃণমূল নেতা কর্মীদের তলব করা হয়েছিল।