ধান কেনা নিয়ে গোলমাল, ‘ফড়েরা ধমকাচ্ছে’, জেলাশাসককে জানালেন চালকলের মালিকরা

রাইস মিল মালিকদের দাবি, জেলায় ৪৫০টির বেশি রাইস মিল (Rice Mill) আছে। সরকারি নির্দেশ এলে তারা ধান কিনতে রাজি।

ধান কেনা নিয়ে গোলমাল, 'ফড়েরা ধমকাচ্ছে', জেলাশাসককে জানালেন চালকলের মালিকরা
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: May 21, 2021 | 12:17 AM

পূর্ব বর্ধমান: রাইস মিলে (Rice Mill) ঢুকে হুজ্জুতি করছে একদল ফড়ে। এমনই অভিযোগ নিয়ে জেলাশাসকের দ্বারস্থ হলেন রাইস মিল মালিকরা। গলসির ঘটনা। জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

স্থানীয় রাইস মিল মালিক সংগঠনের নেতা আব্দুল মালেক জানান, গত ১৮ মার্চ গলসির একটি রাইস মিলে একদল যুবক এসে হুজ্জুতি শুরু করে। তাঁদের দাবি ছিল, কয়েক হাজার কুইন্টাল বোরো ধান তাঁদের কাছে রয়েছে। সেগুলি রাইস মিল মালিকদের কিনে নিতে হবে। তা কিনতে হবে সরকারি সহায়তা মূল্যে। তাঁরা নিজেদের ধান চাষি বলেও দাবি করেন।

আরও পড়ুন: মশারি-চাদর নিয়ে টিকাকেন্দ্রের বাইরে লম্বা লাইন, ‘সকাল সকাল টিকা নিয়ে তবেই ফিরব’

তবে মিল মালিক সেদিনই জানিয়েছিলেন এ ভাবে ধান কেনা সম্ভব নয়। কেন না সরকারি ভাবে ধান কেনার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। তার জন্য আলাদা কেন্দ্র আছে। রাইস মিলগুলি সেখান থেকে ধান নেয়। এ ভাবে কোনও মিল ধান কিনতে পারে না। এরপর ওই যুবকরা ফিরে যায়। অভিযোগ, পরে আবারও দলবল নিয়ে ফিরে আসে ওই যুবকরা। রাইস মিল মালিক-সহ অন্যদের মারধর করে। বিষয়টি থানাতেও জানানো হয়।

কিন্তু এরপরও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ওই রাইস মিল-সহ অন্যান্য মিলের মালিকরা। এরপরই তাঁদের সংগঠনের তরফে জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলার সঙ্গে দেখা করে। জেলাশাসককে বিস্তারিত সব জানান। রাইস মিল মালিকদের দাবি, জেলায় ৪৫০টির বেশি রাইস মিল আছে। সরকারি নির্দেশ এলে তারা ধান কিনতে রাজি। এ কিন্তু এরকম ঘটনা চলতে দেওয়া যায় না। আব্দুল মালেক জানান, জেলাশাসক তাঁদের অভিযোগ শুনে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। একইসঙ্গে তারা অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকেও অভিযোগ জানিয়েছেন।