Snake Bites : সাপের ছোবল, কাটোয়া হাসপাতালে ভর্তি ১৪
Snake Bites : এই মুহূর্তে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১০ জন সাপে কাটা রোগী। আর মহিলা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন দু'জন ও শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন দু'জন। সকলেই চিকিৎসার পর এখন সুস্থ রয়েছেন।
কাটোয়া : কেউ মাঠে ঘাস কাটতে গিয়েছিলেন। কেউ বা জমিতে চাষ করছিলেন। আচমকা তাঁরা অনুভব করেন, পায়ে কিছু একটা কামড়েছে। নীচে তাকাতেই শরীরে শিহরণ বয়ে গেল। পায়ের উপর দিয়ে চলে যাচ্ছে সাপ। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে এসে ভর্তি হন তাঁরা। এই মুহূর্তে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে সর্পদংশনে এমন রোগীর সংখ্যা মোট ১৪ জন।
বর্ষা পড়তেই কাটোয়া মহকুমার কাটোয়া, কেতুগ্রাম ও মঙ্গলকোটে বেড়েছে সাপের উপদ্রব। কাটোয়া হাসপাতালে বেড়ে চলেছে সাপে কাটা রোগীর সংখ্যা। বৃষ্টির কারণে জঙ্গল-সহ ঝোপঝাড় ও নিচু এলাকা জলে ভরে যাচ্ছে। ঠিক এই কারণেই লোকালয়ে উপদ্রব বাড়ছে বিষধর-সহ অন্যান্য সাপেদের। তবে শহরাঞ্চলের থেকে গ্রামাঞ্চল এই এই উপদ্রব বেশি।
এই মুহূর্তে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১০ জন সাপে কাটা রোগী। আর মহিলা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন দু’জন ও শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন দু’জন। সকলেই চিকিৎসার পর এখন সুস্থ রয়েছেন।
প্রদীপ মাঝি নামে এক রোগী বলেন, “রাতের অন্ধকারে নরম কিছুর উপর পা পড়েছিল। তারপর পায়ে যেন কিছু কামড়ে ধরল। নিচে দেখি সাপ। পা ঝাড়া দিতে সাপটা পড়ে গেল। কী সাপ, তা চিনতে পারিনি।”
মে মাসে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে সাপে কাটা মোট ১১৭ জন ভর্তি হয়েছিলেন। যা অন্যান্য মাসের তুলনায় যথেষ্ট বেশি। তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে আনায় মৃতের সংখ্যাও কম বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। যদিও আজ গোপীনাথ সাঁতরা নামে কাটোয়ার শিলা গ্রামের এক বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে কাটোয়া হাসপাতালে। গতকাল তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল।
কাটোয়া হাসপাতাল সুপার সৌভিক আলম বলেন, “বর্ষাকালে সাপে কাটা রোগীর সংখ্যা বেশি হয়। এইরকম রোগীদের চিকিৎসায় যথেষ্ট পরিমাণে প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র ও ইনজেকশন মজুদ রয়েছে। সাপে কাটা রোগী কাটোয়া হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দুই-তিনদিনের মধ্যেই সুস্থ হয়ে বাড়ি চলে যান।” তাঁর আবেদন, সাপে কামড়ানোর পর রোগীকে কোনও ওঝার কাছে নিয়ে গিয়ে ঝাড়ফুঁক না করিয়ে সরাসরি হাসপাতালে আনবেন। তাতে রোগীর দ্রুত সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।