মৃত্যু ভোলাল রাজনৈতিক বিভেদ, করোনায় মৃত বিজেপি নেতার দেহ সৎকার করলেন তৃণমূল কর্মীরা

পাঁচড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার প্রত্যন্ত গ্রাম হাবাসপুর। এই গ্রামেই বিজেপি নেতা হিসেবে পরিচিত নীতিশ বালার বাবা নলিনী বালা (৯০) কোভিড আক্রান্ত হন। গত ২০ মে তাঁর কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসে। চিকিৎসা চললেও বৃদ্ধ নলিনী বালার শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি হয়। অবশেষে শুক্রবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

মৃত্যু ভোলাল রাজনৈতিক বিভেদ, করোনায় মৃত বিজেপি নেতার দেহ সৎকার করলেন তৃণমূল কর্মীরা
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: May 28, 2021 | 10:53 PM

পূর্ব বর্ধমান: করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে বিজেপি নেতার বাবার। কিন্তু তাঁর দেহ সৎকারের কাজে কাউকে পাশে পেলেন না ওই নেতা। অবশেষে যাঁরা এগিয়ে এলেন তাঁরা বিরোধী দলের মুখ বলে পরিচিত। রাজনৈতিক ভেদেভেদ ভুলে বিজেপি নেতার বাবার দেহ সৎকারে এগিয়ে এলেন পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার পাঁচড়ার তৃণমূলের নেতা-কর্মী ও জনপ্রতিনিধিরা। তাঁরাই শুক্রবার দায়িত্ব নিয়ে বিজেপি কর্মী নীতিশ বালার বাবার মৃতদেহ সৎকারের ব্যবস্থা করলেন। পাঁচড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তথা তৃণমূল নেতা লালু হেমব্রম ও উপপ্রধান বিকাশ পাকড়ে শ্মশানে দাঁড়িয়ে থেকে বিজেপি কর্মী নীতিশ বালার বাবার দেহ সৎকার করালেন।

পাঁচড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার প্রত্যন্ত গ্রাম হাবাসপুর। এই গ্রামেই বিজেপি নেতা হিসেবে পরিচিত নীতিশ বালার বাবা নলিনী বালা (৯০) কোভিড আক্রান্ত হন। গত ২০ মে তাঁর কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসে। চিকিৎসা চললেও বৃদ্ধ নলিনী বালার শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি হয়। অবশেষে শুক্রবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। নলিনীবাবু মারা যাওয়ার পরেই তৈরি হয় বিপত্তি। এদিকে কোভিড আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন বলে ভয়ে বিজেপি নেতা বাড়ি মুখো হননি কেউ। মুখ ফিরিয়ে নেন প্রতিবেশীরাও। ফলে দীর্ঘক্ষণ বাড়িতেই পড়ে থাকে মৃতদেহ। কীভাবে বাবার মৃতদেহ সৎকার হবে তা যখন বুঝে উঠতে পারছিলেন না ছেলে, তখন পাশে দাঁড়ালেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।

পাঁচড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান লালু হেমব্রমের কথায়, “বিজেপি কর্মীর বাবার মৃতদেহ সৎকারে কেউ এগিয়ে আসছিলেন না। এই বিষয়টি জানতে পেরে আমরা তৎপর হই। উপপ্রধান বিকাশ পাকড়ের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করি। এর পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এলাকার তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে আমরাই বিজেপি কর্মীর বাবার মৃতদেহ সৎকার করব।”

সেই মতো ব্লক প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে কয়েকটি পিপিই কিট আনান পঞ্চায়েত প্রধান। সেই কিট পরে কয়েকজন কর্মী মৃতদেহ বাড়ি থেকে নিয়ে এসে দামোদরের চরে থাকা শ্মশানে দাহ করেন।

আরও পড়ুন: হাসপাতালে আকাল টিকার, অগত্যা ভরসা পৌরসভা, কাটোয়াতে টিকা পেলেন ‘সম্মুখ যোদ্ধারা’

সদ্য পিতৃহারা বিজেপি নেতার কথায়, “দলের কর্মীদের জানানো সত্ত্বেও তাঁরা কেউ এগিয়ে আসেননি। তাই বাবার শেষকৃত্যের জন্য পঞ্চায়েত প্রধানের সাহায্য চাই। তাঁরা সাড়া দিয়েছেন। এতে তৃণমূল কর্মীদের কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ থাকব।”