Katwa TMC: সরকারি প্রকল্পের টাকা হাতানোর অভিযোগ ২ তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে, অভিযুক্তদের চিনতেই অস্বীকার দলের

West Bengal: গত রবিবার বিকাল থেকে রাত্রি পর্যন্ত কয়েকশো প্রতারিত মহিলার ক্ষোভের মুখে পড়ে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ তোলার কথা স্বীকার করে তাঁরা।

Katwa TMC: সরকারি প্রকল্পের টাকা হাতানোর অভিযোগ ২ তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে, অভিযুক্তদের চিনতেই অস্বীকার দলের
বকুল চক্রবর্তী ও চুমকি সাহা (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 04, 2022 | 11:51 AM

কাটোয়া: বিস্ফোরক অভিযোগ! দলের প্রভাব খাটিয়ে ভুয়ো নথি ও সই জাল করে ব্যাঙ্ক থেকে লক্ষ-লক্ষ টাকা তুলে প্রতারণা। গ্রামের মহিলাদের নামে ব্যাঙ্ক থেকে সেই ঋণ তোলার অভিযোগ উঠল দুই তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত দু’জনই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর দুই নেত্রী। ঘটনার খবর জানাজানি হতেই তাঁদের চার ঘণ্টা আটকে রাখলেন গ্রামের মহিলারা। যদিও ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই এই দুই মহিলা তৃণমূলের কেউ নয় বলে সাফাই স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের।

রবিবার বিকাল থেকে রাত্রি পর্যন্ত কয়েকশো প্রতারিত মহিলা ক্ষোভের মুখে পড়ে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ তোলার কথা স্বীকার করেন তাঁরা। চাপের মুখে পড়ে প্রতারণা স্বীকার করে মুচলেখা দিতে বাধ্য হন অভিযুক্ত দুই নেত্রী বকুল চক্রবর্তী ও চুমকি সাহা। খবর পেয়ে রাত ন’টা নাগাদ পুলিশ এসে ওই দুই মহিলাকে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের কাছ থেকে উদ্ধার করে কাটোয়া থানায় নিয়ে যায়।

জানা গিয়েছে, বকুল ও চুমকি রাজ্য সরকারের আনন্দধারা প্রকল্পকে হাতিয়ার করে কয়েকশো মহিলার সঙ্গে এই লাখ-লাখ টাকার প্রতারণা করেছেন। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা সদস্যের অজান্তেই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, এই প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ব্যাঙ্ক কর্মী ও গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত অনেকেই।

এ দিকে, অজান্তেই ভুয়ো ঋণের ফাঁদে পড়ে গ্রামের দরিদ্র মহিলারা সর্বস্বান্ত হয়ে পড়ছেন এমনটাই অভিযোগ উঠেছে। তাঁদের ব্যাঙ্কে গচ্ছিত টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে ভুয়ো ঋণ পরিশোধের জন্য। এমনকী গোষ্ঠী ও ব্যাঙ্ক গ্রামে এসে মহিলাদের বাড়ি-বাড়ি টাকা পরিশোধের চাপ দিচ্ছেন। এরপরই প্রতারিতরা অভিযুক্ত দুই মহিলাদের ডেকে এনে আটকে রাখে।

এই ঘটনায় বকুল চক্রবর্তী ও চুমকি সাহা দুজনেই নিজেদের তৃণমূল নেত্রী পরিচয় দেন। তারপর নিজেদের দিকে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন, ‘এই ভুয়ো ঋণ চক্রে ব্যাঙ্কের কর্মী, ব্লকের কর্মী সকলেই জড়িত।’ চুমকি সাহা বলেন, ‘প্রায় ৪০-৫০ লক্ষ টাকা ভুয়ো ঋণ এভাবেই ব্যাঙ্কের যোগসাজশে বিভিন্ন জনের নামে তোলা হয়েছে। ব্যাঙ্কের ফিল্ড অফিসার তিনি কেতুগ্রামের তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা। সেই ভুয়ো নথি তৈরি করে ঋণ তুলে প্রতারণা করেছে।’ যদিও, স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা তপন কুমার মণ্ডল সাফ জানান, ‘বকুল বা চুমকি কেউ তৃণমূল কংগ্রেস করে না। আলমপুর পঞ্চায়েত এলাকায় ২১৭ টি নথিভুক্ত স্বনির্ভর গোষ্ঠী থাকলেও ১৭৫ টি স্বনির্ভর গোষ্ঠী সক্রিয় আছে। এর মধ্যে ৩২ টি গোষ্ঠীর প্রায় তিনশ মহিলার মাথায় ভুয়ো ঋণের বোঝা চেপেছে। এলাকার সকলেই চাইছেন ঘটনার সঠিক তদন্ত করে দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।’