Bardhaman boy found in Haryana: ১ লাখ টাকায় বিক্রি হয়ে গিয়েছিল জামালপুরের মাদ্রাসা পড়ুয়া, ৩ মাস পর সন্ধান মিলল হরিয়ানায়

Human Trafficking : মাস খানেক আগে ওই কিশোরের মায়ের কাছে একটি ফোন এসেছিল। সেই ফোনের সূত্র ধরেই ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে ওই কিশোরকে উদ্ধার করা হয় হরিয়ানা থেকে।

Bardhaman boy found in Haryana: ১ লাখ টাকায় বিক্রি হয়ে গিয়েছিল জামালপুরের মাদ্রাসা পড়ুয়া, ৩ মাস পর সন্ধান মিলল হরিয়ানায়
শিশুকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 27, 2022 | 6:00 PM

কলকাতা ও বর্ধমান : তিনমাস ধরে নিখোঁজ মাদ্রাসা পড়ুয়ার খোঁজ মিলল হরিয়ানার কৃষি খামারে। বন্ডেড লেবার বা বেগার মজুর হিসেবে এক খামার মালিক ওই কিশোরকে কিনেছিল দিল্লির এক পাচারকারীর কাছ থেকে। এক লাখ টাকার বিনিময়ে বর্ধমানের রায়নার বাসিন্দা ওই কিশোরকে কিনেছিল খামার মালিক। উল্লেখ্য, ওই কিশোরের বাবা তাকে ছয় মাস আগে ভর্তি করিয়ে দিয়েছিলেন বর্ধমানের জামালপুর এলাকার মাধবপুরের একটি খারেজি মাদ্রাসায়। সেখান থেকে তিন মাস আগে বেপাত্তা হয়ে যায় ওই কিশোর। ঘটনায় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের তরফে থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ, কিশোরের বাবা রায়নার থানায় গেলে পুলিশও অভিযোগ নেয়নি। রায়না থানা থেকে কিশোরের বাবাকে বলা হয় মাদ্রাসা যেখানে সেখানে অভিযোগ জানাতে হবে, অর্থাৎ জামালপুরে। সেখানে অভিযোগ জানতে গেলে আবার পুলিশ বলে, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানাতে হবে।

গত ২২ মে কিশোরের বাবা কলকাতার একটি মানব পাচার বিরোধী সেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ন্যাশনাল অ্যান্টি ট্রাফিকিং কমিটি নামে ওই সংস্থাই একটি ফোন কলের সূত্র ধরে, রাজ্য পুলিশ এবং দিল্লি পুলিশের সহায়তায় হরিয়ানার খামারে কিশোরের সন্ধান পায় এবং তাকে উদ্ধার করে। দিল্লি পুলিশের মানব পাচার বিরোধী শাখা মামলা শুরু করেছে। উদ্ধারকারী সংস্থার অভিযোগ পেয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজির নির্দেশে মামলা শুরু হয়েছে জামালপুর থানায়। তদন্তে দেখা গিয়েছে, ওই মাদ্রাসায় ৫০ জনের বেশি পড়ুয়া থাকলেও, অধিকাংশের নাম নথিভুক্ত নেই। এই কিশোরের নামও ছিল না মাদ্রাসার রেজিষ্টারে।

জানা গিয়েছে, মাস খানেক আগে ওই কিশোরের মায়ের কাছে একটি ফোন এসেছিল। সেই ফোনের সূত্র ধরেই ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে ওই কিশোরকে উদ্ধার করা হয় হরিয়ানা থেকে। ওই মাদ্রাসার পডুয়াদের রেজিস্টারে দেখা গিয়েছে মাত্র ১৬ জনের নাম নথিভুক্ত রয়েছে। রেজিস্টারে যে ওই পড়ুয়ার নাম ছিল না, সে কথাও স্বীকার করে নিয়েছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। আর তখন থেকেই গোটা বিষয়টি থেকে কার্যত দায় এড়ানোর চেষ্টা দেখা গিয়েছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের। মাদ্রাসার সভাপতির দাবি, ছেলেটি পালিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু পালিয়ে গেলেও কেন মাদ্রাসা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাল না? ন্যাশনাল অ্যান্টি ট্রাফিকিং কমিটির চেয়ারম্যান শেখ জিন্নার আলি জানিয়েছেন, গত ৬ মাসে তাঁরা শতাধিক কিশোর কিশোরীকে পাচারকারীদের হাত থেকে উদ্ধার করেছেন। এদের অধিকাংশই কোনও আবাসিক মাদ্রাসা বা আশ্রমের পড়ুয়া। এই আবাসিক মাদ্রাসা বা আশ্রমগুলির সিংহভাগই নথিভুক্ত নয়। জিন্নার অভিযোগ, এই আবাসিক প্রতিষ্ঠানগুলি পাচারের হটস্পট হয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে, এই ধরনের আবাসিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে যাতে একবার পরীক্ষা করে দেখা হয়, রাজ্য পুলিশের ডিজির কাছে সেই আবেদন জানানো হয়েছে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে।