Couple Relationship: বিছানায় শুয়ে রয়েছে বৌমা, ঘরে রয়েছে ছেলেও… দরজা ঠেলে অবস্থা দেখেই ছুটে বেরিয়ে এলেন শাশুড়ি

Memari: অভিযোগ, শুধু বাবুই নন, আগে একবার বিয়ে করেছিলেন অনিতাও। তাঁরও আগের পক্ষের সন্তান রয়েছে।

Couple Relationship: বিছানায় শুয়ে রয়েছে বৌমা, ঘরে রয়েছে ছেলেও... দরজা ঠেলে অবস্থা দেখেই ছুটে বেরিয়ে এলেন শাশুড়ি
স্থানীয়দের ভিড় ঘটনাস্থলে। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 04, 2022 | 4:27 PM

পূর্ব বর্ধমান: ঘরের ভিতর থেকে উদ্ধার হল স্বামী, স্ত্রীর মৃতদেহ। মেমারির আমোদপুরের এই ঘটনা। নিহতদের নাম বাবু ঘোষ (২৯) ও অনিতা ঘোষ (২৫)। পাঁচ মাস আগে তাঁদের বিয়ে হয়। বাবু ঘোষের আগের পক্ষের একটি সন্তান রয়েছে। সেই সন্তান তাঁর কাছেই থাকত। বাবুর পরিবারের অভিযোগ, এই সন্তান নিয়েই দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে ঝামেলা শুরু হয় বাবুর। কিছুতেই অনিতা এই সন্তানকে মানতে চাইতেন না। বাবুর মায়ের দাবি, বিয়ের আগে সবকিছু জানিয়েই অনিতাকে এ বাড়িতে আনা হয়েছিল। তখন তিনিও স্বামীর আগের পক্ষের স্ত্রীর ছেলেকে দেখতে রাজি হয়েছিলেন। কিন্তু পরে সুর বদলান।

অভিযোগ, শুধু বাবুই নন, আগে একবার বিয়ে করেছিলেন অনিতাও। তাঁরও আগের পক্ষের সন্তান রয়েছে। এই নিয়েই নিয়মিত দম্পতির কথা কাটাকাটি চলত। পুলিশের অনুমান, স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই যুবক। বাবু ঘোষের বাবা নিখিল ঘোষের কথায়, সোমবার সকালে ঘরের ভিতর তাঁর ছেলের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। ওদিকে খাটের উপরে বৌমার দেহ পড়েছিল। শাশুড়ি ডাকাডাকি করে সাড়া না পাওয়ায় দরজা ঠেলেন। এরপরই দৃশ্য দেখে গলা শুকিয়ে যায় তাঁর। ছুটে বেরিয়ে এসে সকলকে ডাকাডাকি করেন। মেমারি থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

স্থানীয় বাসিন্দা সুশান্ত রায় বলেন, “বাবু ঘোষের আগেও বিয়ে হয়। একটা ছেলেও হয়। ছেলেটা একটু অন্যরকম। এদিকে বাবু কলকাতায় কাজ করতে গিয়েছিল। কিন্তু বউয়ের বক্তব্য ছিল স্বামী যেন গ্রামে ফিরে আসেন। ওর বউ বলত, ‘আমি চার পাঁচ বাড়ি কাজ করে তোমাকে খাওয়াব। অনেকেই তো সংসার টানে’। কিন্তু ও আসতে চায়নি। এরপর আরও কিছু গোলমাল হয় ওদের মধ্যে। ওই বউ ছেলেকে রেখে স্বামীর সংসার ছাড়ে। কাগজেকলমে ওদের ছাড়াছাড়িও হয়ে যায়। এরপরই আবার কাটোয়ার দিকের একটা মেয়েকে বিয়ে করে বাবু। সেই বিয়েতেও অশান্তি শুরু হয়। বাবুর ছেলেটাকে নিয়ে ঝামেলা করত বউ।” পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পরিবারের লোকজনের পাশাপাশি এলাকার লোকজনের সঙ্গেও কথা বলছেন তাঁরা।