Tajpur Port: তাজপুর বন্দরে সবুজ সঙ্কেত মমতার ক্যাবিনেটের, কর্মসংস্থানের আশায় বুক বাঁধছেন স্থানীয়রা

Tajpur: রাজ্যের মানচিত্রে এক নতুন পালক যোগ হল বলেই মনে করছেন স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি। তিনি বলেন, "আশা করি খুব তাড়াতাড়ি কাজ শুরু হবে। এখানে বন্দর হলে শুধু পূর্ব মেদিনীপুর নয়, আশপাশের জেলা সহ রাজ্যের মানচিত্রে নতুন পালক জুড়ল বলা চলে।"

Tajpur Port: তাজপুর বন্দরে সবুজ সঙ্কেত মমতার ক্যাবিনেটের, কর্মসংস্থানের আশায় বুক বাঁধছেন স্থানীয়রা
তাজপুরের ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 20, 2022 | 6:13 PM

কলকাতা ও পূর্ব মেদিনীপুর: সোমবার ক্যাবিনেট বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল তাজপুরের গভীর সমুদ্র বন্দর। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে তাজপুরের গভীর সমুদ্র বন্দরের উপর চূড়ান্ত অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরির বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চর্চা চলছিল। এর আগে ১৪ সেপ্টেম্বর পূর্ব মেদিনীপুরের প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, তাজপুর বন্দর সংক্রান্ত বিষয়ে কাজ শুরু হয়েছে। এই গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরি হয়ে গেলে, সেখানে প্রচুর কর্মসংস্থান হবে বলেও আশার আলো দেখিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সেই তাজপুর বন্দর তৈরি হতে চলেছে। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর গড়ে তোলার জন্য আদানি গোষ্ঠী অর্থলগ্নি করবে। উল্লেখ্য, প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে এই গভীর সমুদ্র বন্দরের জন্য।

তাজপুরে সমুদ্র বন্দর তৈরির বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনা চলছিল। এই নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য টালবাহানাও চলছিল মাঝে। শেষ পর্যন্ত গত বছর রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, কেন্দ্রের সাহায্য ছাড়া এককভাবে বন্দর তৈরি করবে রাজ্য। তারপর থেকেই বন্দর তৈরির প্রক্রিয়া ধীরে ধীরে এগোতে থাকে। সেই মতো ১৪ মার্চের মধ্যে বন্দর তৈরির জন্য আগ্রহপত্র চাওয়া হয়েছিল রাজ্যের তরফে। বহু সংস্থা আগ্রহ দেখিয়েছিল তাতে। শেষ পর্যন্ত আদানি গোষ্ঠীকে দেওয়া হয় বরাত। রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এই কথা চাউর হতেই নতুন করে আশার আলো দেখছেন তাজপুরের স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের কথায়, দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। এই বন্দর তৈরি হলে, তাজপুর তো বটেই গোটা রাজ্যের অর্থনীতিকে বদলে দেবে। এমনই আশা স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাঁরা বলছেন, “তাজপুর বন্দর আমাদের কাছে স্বপ্নের মতো। বন্দর হলে এলাকার উন্নয়ন হবে। জলপথ, রেলপথ ও সড়কপথের সমন্বয় ঘটবে। বহু মানুষের কাজের সুযোগ হবে। এলাকার অর্থনীতি আরও উন্নততর হয়ে উঠবে।”

স্থানীয় তালগাছাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিশ্বজিৎ জানা বলেন, “তাজপুরে বন্দর গড়ার স্বপ্ন অবশেষে বাস্তবায়িত হতে চলেছে। রাজ্যের এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি।” রাজ্যের মানচিত্রে এক নতুন পালক যোগ হল বলেই মনে করছেন স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি। তিনি বলেন, “আশা করি খুব তাড়াতাড়ি কাজ শুরু হবে। এখানে বন্দর হলে শুধু পূর্ব মেদিনীপুর নয়, আশপাশের জেলা সহ রাজ্যের মানচিত্রে নতুন পালক জুড়ল বলা চলে। কর্মসংস্থান থেকে শুরু করে সবক্ষেত্রেই ভোল বদল হবে এই অঞ্চলের। এটি সরকারের প্রশংসনীয় উদ্যোগ। মুখ্যমন্ত্রী কথা রেখেছেন, তাঁকে ধন্যবাদ।”