Digha : অশনি মোকাবিলায় প্রস্তুত প্রশাসন, রোদ-বৃষ্টি মাথায় দিঘায় ‘অপেক্ষায়’ পর্যটকরা

Digha : প্রশাসনের বিধিনিষেধের জন্য সমুদ্রে নামতে পারেননি পর্যটকরা। এই নিয়ে কিছুটা মন খারাপ তাঁদের। কিন্তু, পাড়ে বসেই রোদ-বৃষ্টির আনন্দ উপভোগ করছেন।

Digha : অশনি মোকাবিলায় প্রস্তুত প্রশাসন, রোদ-বৃষ্টি মাথায় দিঘায় 'অপেক্ষায়' পর্যটকরা
পাড়ে বসে সমুদ্রের সৌন্দর্য উপভোগ করছেন পর্যটকরা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 10, 2022 | 6:13 PM

দিঘা : সমুদ্রের টানে দিঘায় এসেছেন। কিন্তু, সমুদ্রে নামতে পারছেন না। কোনও পর্যটক যাতে অতি উৎসাহী হয়ে স্নানের জন্য নেমে পড়তে না পারেন, তার জন্য তৎপর প্রশাসনও। বারবার মাইকে ঘোষণা করা হচ্ছে, কেউ যাতে সমুদ্রে না নামেন। আর এর সব কিছুর পিছনে অশনি-র ‘অশনি সঙ্কেত’। ওড়িশা-অন্ধ্র উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় অশনি (Cyclone Asani)। তার জেরে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় প্রস্তুত পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন।

পর্যটকদের কাছে অন্যতম গন্তব্য স্থান দিঘা। সমুদ্রে স্নানের জন্য দিঘায় পর্যটকদের ঢল নামে। অশনি-র ‘অশনি সঙ্কেত’-এর জেরে দিঘা উপকূলে কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে জেলা প্রশাসন। জেলার ৬৮ কিমি উপকূলবর্তী এলাকায় সচেতন করা হচ্ছে গ্রামবাসী ও পর্যটকদের। দত্তপুর, বিলামুড়িয়া, তালগাছাড়ি-সহ একাধিক গ্রাম ঘুরে বাসিন্দাদের সচেতন করা হচ্ছে। জেলার ২৫টি ব্লকেই খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। চারটি মহকুমা ও জেলাশাসকের দফতর থেকেও নজরদারি চালানো হচ্ছে।

digha cyclone

পুলিশের তরফে এলাকায় প্রচার করা হচ্ছে

উপকূলবর্তী থানাগুলি যেমন হলদিয়া, নন্দীগ্রাম, তালপাটি, খেজুরি, জুনপুট, মন্দারমণি, দিঘা মোহনা এবং দিঘা থানার পুলিশ সর্বক্ষণ প্রচার করছে। যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য এনডিআরএফ-এর দুটি টিম ও এসডিআরএফের দুটি টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সবমিলিয়ে ১০০ জন রয়েছেন ওই চারটি টিমে।

আজ সকাল থেকে কখনও রোদের দেখা মিলেছে। কখনও বা বৃষ্টি। তারই মধ্যে সমুদ্রের পাড়ে বসে থাকতে দেখা গিয়েছে পর্যটকদের। প্রশাসনের বিধিনিষেধের জন্য সমুদ্রে নামতে পারেননি তাঁরা। এই নিয়ে কিছুটা মন খারাপ তাঁদের। কিন্তু, পাড়ে বসেই রোদ-বৃষ্টির আনন্দ উপভোগ করছেন।

tourists

সমুদ্রে নামতে পা-পেরে অপেক্ষায় পর্যটকরা

রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি বলেন, “সকাল থেকেই কাঁথি ১, ২ সহ মন্দারমণি, শঙ্করপুর, দিঘা সব এলাকাতেই বিশেষ নজরদারি চলছে। এখন ভাটার সময়। তাই জলস্তর বাড়ার ব্যাপার নেই। আবহাওয়া দফতর বলেছে ভয়ের কিছু নেই। তবুও আমরা সচেতন রয়েছি।”

জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, “সমুদ্র পাড়ে যাওয়া বা স্নানে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। অতিরিক্ত ভিড়ে গা না ভাসিয়ে সচেতন মানুষজন বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। এখনও গোটা জেলার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। আতঙ্কের তেমন কিছুই হয়নি। দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি। সব জেলার আধিকারিকরা নিজেদের জায়গায় তৈরি রয়েছে। কুইক রেসপন্স টিম রয়েছে। সব মিলিয়ে প্রশাসন সহ পুলিশ যৌথভাবে নজরদারি চালাচ্ছে। আর মধ্যে সমুদ্রে জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে। আমরা সজাগ রয়েছি। এনডিআরএফ-ও তৈরি রয়েছে।”