High Court: ‘দুর্নীতি হলে ছেড়ে কথা বলবে না আদালত’, শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ শ্যামল আদককে থানায় হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ
High Court: চেয়ারম্যান থাকাকালীন নিজের আত্মীয়ের সংস্থাকে টেন্ডার পাইয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এই অভিযোগের ভিত্তিতে শ্যামলের বিরুদ্ধে একাধিক থানায় এফআইআর দায়ের হয়।
হলদিয়া: বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ শ্যামল আদককে মঙ্গলবার হাজিরা দিতে হবে হলদিয়ার ভবানীপুর থানায়। ব্যবসায়ীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা লোপাটের মামলায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ। সোমবার এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তবে তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে না বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদি তিনি সহযোগিতা না করেন, তাহলে রাজ্য আদালতে এসে জানালে তাঁর রক্ষাকবচ তুলে নেওয়া হবে বলেও আদালত আশ্বস্ত করেছে পুলিশকে।
আদালতের স্পষ্ট বক্তব্য, আদালত কোনও দুর্নীতি হলে ছেড়ে কথা বলবে না। তবে এই মামলা করার এক্তিয়ার শ্যামল আদকের আদৌ আছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তিন সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে হলফনামা দিতে হবে আদালতে।
হলদিয়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শ্যামলের বিরুদ্ধে টেন্ডার দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। ২০২১ সালের অগস্ট মাসে টেন্ডার দুর্নীতি নিয়ে হলদিয়ার ভবানীপুর থানায় শ্যামল আদকের বিরুদ্ধে এফআইআর করে তৎকালীন পুরবোর্ড। সেই মামলায় ফের নতুন করে তদন্ত শুরু হয়েছে। চেয়ারম্যান থাকাকালীন আইএনটিটিইউসি-র অফিস ‘বন্দর শ্রমিক ভবন’-এ বসে বন্দর সংক্রান্ত কাজকর্ম করতেন শ্যামল। অভিযোগ, চেয়ারম্যান থাকাকালীন নিজের আত্মীয়ের সংস্থাকে টেন্ডার পাইয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এই অভিযোগের ভিত্তিতে শ্যামলের বিরুদ্ধে একাধিক থানায় এফআইআর দায়ের হয়। পরে তাঁর অফিসে তল্লাশিও চালায় পুলিশ। বেশ কিছু নথিও সংগ্রহ করা হয়েছিল। এবার ফের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাঁকে।
একাধিকবার এই মামলায় তাঁকে তলব করা হয়েছে। কিন্তু বারবার হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। পরে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সেই মামলারই শুনানি ছিল সোমবার। এর আগে শ্যামল আদকের নামে হুলিয়াও জারি করা হয়েছিল। হলদিয়া, কলকাতা সর্বত্রই হুলিয়া জারি হয়। অভিযোগ উঠেছিল, এফআইআরের পরই গা ঢাকা দেন তিনি।