Cyclone Asani: দুপুর গড়াতেই ঘুরল দিঘার আকাশ, কালো মেঘ, ঠান্ডা হাওয়া… পৌঁছল NDRF
Digha: এদিন সন্ধেয় দু'টি এনডিআরএফ ও দুটি এসডিআরএফ টিম উপকূলে এসে পৌঁছেছে। দিঘা ও জুনপুটে মোতায়েন করা হবে এনডিআরএফ টিম।
পূর্ব মেদিনীপুর: অশনি মোকাবিলায় সোমবার থেকেই তটরক্ষীবাহিনীর মহড়া শুরু হল হলদিয়ায়। লোক সরানোর কাজও শুরু করেছে দেশপ্রাণ পঞ্চায়েত সমিতি। নবান্ন থেকে সতর্ক করার পর প্রশাসন অত্যন্ত সক্রিয়। দিঘা, মন্দারমণি, শঙ্করপুর-সহ একাধিক এলাকায় মাইকিং চলছে। সোমবার সকাল থেকে কখনও বৃষ্টি, কখনও আবার মেঘ কেটে রোদের ঝিলিক দেখা গিয়েছে। তবে বিকেলের পর আবহাওয়ায় বদল আসে। এখনও অবধি রাজ্যের উপকূল এলাকায় জোরালো হাওয়া বা জলোচ্ছ্বাসের কোনও সতর্কবার্তা জারি হয়নি। তবে জেলার ২৫ টি ব্লকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা শুরু। দফায় দফায় কুইক রেসপন্স টিমের মহড়া হচ্ছে। সাইক্লোন সেন্টারগুলিও প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। দুর্যোগ হলে সমস্ত দফতর যাতে সমন্বয় রেখে কাজ করে সে বার্তাও দেওয়া হয়েছে।
এদিন সন্ধেয় দু’টি এনডিআরএফ ও দুটি এসডিআরএফ টিম উপকূলে এসে পৌঁছেছে। দিঘা ও জুনপুটে মোতায়েন করা হবে এনডিআরএফ টিম। বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র-সহ একাধিক স্কুল ভবন তৈরি রাখা হচ্ছে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে জেলা, মহকুমা ও ব্লক অফিসে খোলা হয়েছে কন্ট্রোলরুম। পর্যটকদের সুরক্ষার কথা ভেবে সোমবার থেকেই দিঘার সমুদ্রস্নানে জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। দড়ি দিয়ে সমুদ্র সৈকত ঘিরে ফেলা হয়েছে। নুলিয়া-পুলিশ যৌথভাবে নজরদারি চালাচ্ছে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে জেলা, মহকুমা ও ব্লক অফিসে খোলা হয়েছে কন্ট্রোলরুম। পর্যটকদের সুরক্ষার স্বার্থে সোমবার থেকেই দিঘার সমুদ্রস্নানে জারি নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।
এদিন থেকেই পরিবর্তন হতে শুরু করেছে দিঘা-সহ সমুদ্র উপকূলের আবহাওয়া। এদিন দুপুরের পর হঠাৎই আবহাওয়ার বদল দেখা যায় উপকূলের আকাশে। কালো মেঘের ঘনঘটা, সঙ্গে দমকা হাওয়া। ধীরে ধীরে পর্যটকও কমতে শুরু করেছে। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দুকুমার মাজি বলেন, “হোটেলে থাকায় কোনও বিধি নিষেধ না থাকলেও সমুদ্র পাড়ে যাওয়া বা স্নানে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। অতিরিক্ত ভিড়ে গা না ভাসিয়ে সচেতন মানুষজন বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। এখনও গোটা জেলার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। আতঙ্কের তেমন কিছুই হয়নি। দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি।” অন্যদিকে এদিন হলদিয়ায় তটরক্ষী বাহিনীর মহড়া চলে। এক আধিকারিক দীপক সিং বলেন, “ঝড় মোকাবিলায় বাহিনীর ৪টি হোভারক্রাফ্ট, ২টি উদ্ধারকারী জাহাজ হলদিয়ায় এবং ২টি এয়ারক্রাফ্ট কলকাতায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও ওড়িশাকেও তৈরি থাকতে বলা হয়েছে।”