Sukanta Majumdar: শাসকদলের ‘বিড়ম্বনা’কেই তুরুপের তাস করে পঞ্চায়েত-বৈতরণী পারের পরিকল্পনা বিজেপির

Purba Medinipur: যদিও সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্যকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ প্রাক্তন মন্ত্রী ও তমলুক সাংগঠনিক তৃণমূল জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র।

Sukanta Majumdar: শাসকদলের 'বিড়ম্বনা'কেই তুরুপের তাস করে পঞ্চায়েত-বৈতরণী পারের পরিকল্পনা বিজেপির
ভোটের ময়দানে দুর্নীতিই ইস্যু বলছে বিজেপি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 01, 2022 | 9:36 AM

পূর্ব মেদিনীপুর: আগামী বছর ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোট বাংলায়। এখনও ভোটের দিনক্ষণ সামনে আসেনি ঠিকই। তবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে পুরোদমে। সোমবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সফরে গিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বার্তা দেন, শাসকদলের বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগকে সামনে রেখেই গেরুয়া সৈনিকদের ময়দানে নামার।

সুকান্তকে বলতে শোনা যায়, পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেতার জন্য যা যা করা দরকার বিজেপি তার সমস্ত কিছুই করবে। সকলে নির্বাচনে তা দেখতেই পাবেন। পুলিশকে সামনে রেখে তৃণমূল গণনা কেন্দ্রে ভোট লুঠের পরিকল্পনা করেছে বলে অভিযোগ করে সুকান্ত বলেন, “কীভাবে কাউন্টার করা যায় তার চিন্তাভাবনা আমরা করছি। এবার মনোনয়ন জমায় তৃণমূলের কোনও বাধাদান আমরা মানব না।”

সুকান্ত মজুমদারের কথায়, আগের ভোটে তাঁদের সাংসদ-বিধায়ক কম ছিল, তবে এবার সে সংখ্যা অনেক। মনোয়নের সময় ব্লকে ব্লকে সাংসদ কিংবা বিধায়কদের একজন কেউ যাতে থাকেন সেই চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “বিপুল সংখ্যায় দলীয় কর্মীদের জমায়েত নিয়ে আমরা মনোনয়ন জমা দিতে যাব।”

এ ভোটে শাসকদলের ‘দুর্নীতি’ই প্রচারের ইস্যু হবে বলেও জানান সুকান্ত। তিনি বলেন, “এমন দুর্নীতি যে ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে কেন্দ্র সরকার। যে টাকা এসেছে তার পুরোটাই লুঠ হয়েছে। তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে ঢুকেছে। সবাই তা দেখতে পাচ্ছেন। এক একজন তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের তাজমহল সমান বাড়ি। আগে ভারতবর্ষে একটা তাজমহল ছিল। এখন তৃণমূলের দৌলতে কয়েক হাজার তাজমহল। গ্রামেগঞ্জে সেই তাজমহল লোকে দেখতে যাচ্ছে। কোথাও ‘লাভ হাউস’ প্রধানের বাড়ির নাম। গোটা বাড়ি জুড়ে লাভ চিহ্ন আঁকা।”

যদিও সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্যকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ প্রাক্তন মন্ত্রী ও তমলুক সাংগঠনিক তৃণমূল জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র। তিনি বলেন, “প্রত্যেক দলই ভোটের আগে স্ট্র্যাটেজি তৈরি করে। বিজেপিও করবে। কিন্তু সুকান্ত মজুমদার যে বলছেন পঞ্চায়েত ভোটে তাঁর ধারনা তৃণমূল কংগ্রেস ভোট লুঠ করবে। তাই তিনি বিধায়কদের দাঁড়িয়ে থেকে নমিনেশনে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলছেন। কিন্তু বিধানসভা, লোকসভা ভোটে তো ওনাদেরই কথামতো, ওনাদের পছন্দমতো কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকে। তখনও মানুষ কিন্তু স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়ে তৃণমূলকেই জিতিয়েছেন। পঞ্চায়েত ভোটে আমরা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে যাইনি যে ভোট লুঠ করতে হবে বা সন্ত্রাস করতে হবে। বরং ওনাদের জনবল নেই, তাই ওনাদের এসব করতে হবে। সুকান্তবাবুরা যে কোনও পথ অবলম্বন করতে পারেন। তাঁরা আবার বিফল হয়ে ২০২১-এর মতোই পঞ্চায়েতেও ফেরত যাবেন। “