Suvendu Adhikari: ‘সবথেকে বড় তোলাবাজ তো ও নিজেই’, ২১ জুলাইয়ের চাঁদা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে অভিষেককে কটাক্ষ শুভেন্দুর

21 July: এ বছর কোভিড কাঁটা পার করে ফের ধর্মতলায় ২১শের সমাবেশ। বক্তব্য রাখবেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

Suvendu Adhikari: 'সবথেকে বড় তোলাবাজ তো ও নিজেই', ২১ জুলাইয়ের চাঁদা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে অভিষেককে কটাক্ষ শুভেন্দুর
বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 25, 2022 | 1:55 PM

পূর্ব মেদিনীপুর: তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ নিয়ে ইতিমধ্যেই কড়া বার্তা দিয়েছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, ২১ জুলাইকে সামনে রেখে কোনও চাঁদা তোলা যাবে না। দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পষ্ট বার্তা, কারও বিরুদ্ধে যদি চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে, তা হলে তাঁকে পত্রপাঠ বিদায় করবে দল। একেবারে বহিষ্কার। জেলার শীর্ষ নেতারা এই নির্দেশকে সামনে রেখেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি শুরু করেছে। যদিও অভিষেকের বক্তব্য নিয়ে কটাক্ষের তির শানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর বক্তব্য, যিনি চাঁদা না তোলার নির্দেশ দিয়েছেন, তাঁর ভূমিকাই তো প্রশ্নের মুখে।

কোভিডের কারণে গত দু’বছর ২১ জুলাই ধর্মতলায় পালন হয়নি তৃণমূলের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতা শোনানো হয়েছে জায়ান্ট স্ক্রিনে। এ বছর কোভিড কাঁটা পার করে ফের ধর্মতলায় ২১শের সমাবেশ। বক্তব্য রাখবেন তৃণমূল সুপ্রিমো। একুশের বিধানসভা ভোট, উপনির্বাচন, পুরভোটে শাসকদলের ব্যাপক জয়ের পর এই সমাবেশের তাৎপর্য যথেষ্টই। গত সপ্তাহেই ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি বৈঠকে বসে তৃণমূল। সূত্রের খবর, সেখানে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কার্যত হুঁশিয়ারি দেন, কেউ যেন একুশে জুলাইয়ের সমাবেশের নাম করে চাঁদা না তোলেন। এক পয়সা চাঁদা নিলেও শাস্তিস্বরূপ দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।

এ প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি বলেন, “দলের একটা শৃঙ্খলা থাকা দরকার, একটা নিয়ম থাকা দরকার। যদি আমি বলি চাঁদা তুলুন, তা হলে দলের মধ্যে থেকেই অনেকেই হয়ত বেশি চাঁদা নিয়ে নিতে পারে। হয়ত ২০ হাজার খরচ, সেখানে বেশি টাকা উঠে গেল। তাই বলা হয়েছে চাঁদা নেবেন না। কেউ যদি বলেন, এই সমাবেশের জন্য একটা গাড়ির ভাড়া বা কিছুর খরচ দিলাম সেটা হতে পারে। আমরা যারা বিধায়ক আছি, যারা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষরা আছেন, পঞ্চায়েতের প্রধান, পঞ্চায়েত সমিতি আছে, আমরা বলে দিই একটা করে গাড়ি ঠিক করে যেন কর্মীদের পাঠান।”

যদিও এই চাঁদা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘিরে চরম কটাক্ষ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু বলেন, “সবথেকে বড় তোলাবাজ তো ও নিজেই। রুজিরা নারুলা কে, তার পরিচয়টা ঘোষণা করুক। কয়লার টাকা কে তুলত, বলে দিলেই তো হয়। অনেক মানহানির মামলা করেছে। কিন্তু এটায় কোনও মামলা করে না। আসলে আমি তো চেক দেখাই।”