Purulia Congress Win: ‘স্বামীকে খুন করেও দমানো গেল না…’, তপন কান্দুর ওয়ার্ডে বড় ধাক্কা তৃণমূলের

Purulia: গত ১৩ মার্চ ঝালদা শহরের উপকন্ঠে বাঘমুণ্ডীতে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন ঝালদা পুরসভার ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তপন কান্দু। তারপর গত ২৬ জুন ওই ওয়ার্ডে পুর্ননিবার্চন হয়।

Purulia Congress Win: 'স্বামীকে খুন করেও দমানো গেল না...', তপন কান্দুর ওয়ার্ডে বড় ধাক্কা তৃণমূলের
তৃণমূলকে হারিয়ে জিতল কংগ্রেস (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 29, 2022 | 2:10 PM

পুরুলিয়া: ‘আমি জানতাম আমরাই জয়ী হবো…’ ধরা গলায় ঠিক এই ভাবেই বলতে শুরু করেছিলেন পুরুলিয়া ঝালদা ২ নম্বর ওয়ার্ডের নিহত কাউন্সিলার তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু। কারণ ওই ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে ফের একবার তৃণমূলকে পর্যুদস্ত করে জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন কংগ্রেসের মিঠুন কান্দু। তিনি ৭৭৮ পরাজিত করলেন নিকটতম তৃণমূল প্রার্থী জগন্নাথ রজককে।

গত ১৩ মার্চ ঝালদা শহরের উপকন্ঠে বাঘমুণ্ডীতে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন ঝালদা পুরসভার ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তপন কান্দু। তারপর গত ২৬ জুন ওই ওয়ার্ডে পুর্ননিবার্চন হয়। কংগ্রেসের হয়ে ভোটে দাঁড়ান নিহত কাউন্সিলর তপন কান্দুর ভাইপো মিঠুন কান্দু। বুধবার নির্বাচনের ফল ঘোষণা হলে দেখা যায় মিঠুন পেয়েছেন ৯৩০ টি ভোট। অন্যদিকে, তৃণমূল প্রার্থী জগন্নাথ রজক পেয়েছেন ১৫২ ভোট। আর বিজেপির পরেশচন্দ্র দাস বলতে গেলে চিত্রেই নেই। তিনি পেয়েছেন হাতে গোনা ৩৩টি ভোট। এই বিপুল ভোটের ব্যবধান নিয়ে ইতিমধ্যেই ঝালদায় শুরু হয়ে গিয়েছে আলোচনা।

সাধারণ ভোটার থেকে রাজনৈতিক নেতা সকলেই এক বাক্যে স্বীকার করে নিয়েছেন ২ নং ওয়ার্ডের মানুষ সহানুভূতির ভোট দিয়েছেন। তবে এই ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী জগন্নাথ রজক অবশ্য দাবি করেছেন অন্তর্ঘাতের। তিনি বলেন, ‘ঝালদা শহরের তৃণমূল নেতৃত্ব এই অন্তর্ঘাতের পিছনে রয়েছে।’ এই অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন ঝালদা শহর তৃণমূল সভাপতি দেবাশিস সেন। তিনি বলেন, ‘এই ওয়ার্ডের মানুষ মিঠুনকেই চেয়েছেন। বিপুল এই জয় তপন কান্দুর জনপ্রিয়তার ফসল।’

তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু বলেন, ‘আমি খুশি। কারণ আমার স্বামী তো আগেই জয়ী হয়েছিলেন। এই দুমাসের মধ্যে তো আর মানুষ বদলে যেতে পারে না। আমার স্বামী যাতে চেয়াম্যানের সিটে না বসেন সেই কারণে এই তৃণমূলের নেতারা আমার স্বামীকে হত্যা করে। যাতে উপনির্বাচন হোক আর তৃণমূল এই ওয়ার্ড থেকে জয়ী হোক। কিন্তু এই ওয়ার্ডের মানুষরা সেটা চায়নি। তাই দুনম্বর ওয়ার্ডের মানুষদের আমি অনেক ধন্যবাদ জানাই।’ অপরদিকে, ভোটে জিতে মিঠুন কান্দু বলেন, ‘কংগ্রেস ৭৭৮ ভোটে লিড পেয়েছে। আরও জয়ের আশা ছিল। তবে আমি খুশি। আমার কাকুর স্বপ্ন-পূরণ করব। রাস্তা, জল, ড্রেন সমস্ত কিছু পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখব। অন্যদিকে, জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতোর দাবি, হত্যার রাজনীতির জবাব দিয়েছেন সাধারণ মানুষ।এই জন্যই বিরাট ব্যবধানে জয়।

তবে ভোটের রেজাল্ট যাই হোক এ দিন ফল ঘোষণার পর মিঠুনবাবুকে পায়ে হাত দিয়ে বিরোধী তৃণমূল প্রার্থী জগন্নাথ রজকের পায়ে হাত দিয়ে আশীর্বাদ নিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। মাথায় হাত রেখে আর্শীবাদও করেছেন জগন্নাথবাবু।