Kurmi Agitation: গ্রেফতার ১৪, কুড়মি আন্দোলনে ‘রণক্ষেত্র’ স্টেশন! বাতিল একাধিক ট্রেন
Kurmi Agitation in Bengal: তারপর শুরু ধরপাকড়। স্থানীয় সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত মোট ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে এই সংখ্য়া নিশ্চিত নয়, আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করছে একাংশ। আহত হয়েছেন বেশ কয়েক জন পুলিশ। তারা আপাতত স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

তপন হালদার ও সায়ন্ত ভট্টাচার্যের রিপোর্ট
পুরুলিয়া: এই লড়াই দীর্ঘদিনের। এই লড়াই সংরক্ষণের। এই লড়াই তাদের কাছে ‘স্বাধীনতার’ও। আর সেই লড়াইকে জিইয়ে রাখতে নতুন করে সরব জঙ্গলমহলের কুড়মি সমাজ। আদালতের নির্দেশের পরেও পুজোর মুখে ‘রেল টেকা’ আন্দোলনের ডাক দিয়েছিল তারা। ৬ মাস আগেই ঘোষণা হয়েছিল সেই আন্দোলনের দিনক্ষণ। সমস্ত প্রশাসনিক দফতরে চিঠি দিয়ে কুড়মি সমাজের প্রতিনিধিরা জানিয়ে দিয়েছিল, ২০ সেপ্টেম্বর হবে আন্দোলন। আর সেই দিন ছিল আজ অর্থাৎ শনিবার।
টিকল আন্দোলন?
সকাল থেকে আন্দোলনের উত্তাপ খুব একটা ছিল না। কিন্তু বেলা গড়াতেই বাড়তে থাকে তাপ। দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ তেজ বাড়ে আন্দোলনের। ঝাড়খণ্ড লাগোয়া পুরুলিয়ার কোটশিলা স্টেশন হয়ে ওঠে রণক্ষেত্র। পাথর, টিয়ার গ্য়াস সবই ছোড়াছুড়ি হতে দেখেছে সাধারণ মানুষ। এদিন গোটা স্টেশন চত্বর-সহ রেললাইন কার্যত নিজেদের ‘দখলে’ নিয়ে নেয় কুড়মি আন্দোলনকারীরা। অভিযোগ, আন্দোলন রুখতে এগিয়ে আসা নিরাপত্তারক্ষী ও পুলিশ কর্মীদের দিকে পাথর ছোড়ে তারা। পাল্টা কুড়মি আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, ছোড়া হয়েছে টিয়ার গ্যাসের সেল, চলেছে লাঠিপেটা। সব মিলিয়ে পুরুলিয়ার এই ছোট্ট স্টেশন যেন যুদ্ধক্ষেত্র।
শনির দুপুরে পরিস্থিতি সামাল দিতে নামানো হয়েছিল অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী। শ’য়ে শ’য়ে পুলিশ সক্ষম হয়েছে গোটা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে। তারপর শুরু ধরপাকড়। স্থানীয় সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত মোট ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে এই সংখ্য়া নিশ্চিত নয়, আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করছে একাংশ। আহত হয়েছেন বেশ কয়েক জন পুলিশ। তারা আপাতত স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বিচ্ছিন্ন রেল পরিষেবা
কুড়মি আন্দোলনের প্রভাব পড়েছে রেলের উপর। জঙ্গলমহলে ৮-৯ জায়গায় রেল টেকা কর্মসূচি চালায় তারা। যার জেরে ব্যাহত হয় পরিষেবা। ইতিমধ্য়ে রেলের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানান হয়েছে, কুড়মি আন্দোলনের জেরে শনিবার পূর্ব-মধ্য শাখা এবং দক্ষিণ-পূর্ব শাখার একাধিক ট্রেন বাতিল কিংবা তাদের যাত্রাপথের অভিমুখ পরিবর্তন করতে হয়েছে।
বাতিল ট্রেন
শনিবার বাতিল হয়েছে, আসানসোল-গোমো মেমু, আসানসোল-বারাণসী মেমু এক্সপ্রেস, ডুমকা-রাঁচি এক্সপ্রেস, বর্ধমান-হাতিয়া মেমু এক্সপ্রেস, হাওড়া-ধানবাদ ব্ল্যাক ডায়মন্ড এক্সপ্রেস, আসানসোল-গয়া মেমু এক্সপ্রেস এবং হাওড়া-গয়া মেমু এক্সপ্রেস।
যাত্রাপথ পরিবর্তন
আন্দোলনের জেরে অভিমুখ ঘোরানো হয়েছে, হাওড়া-যোগ নাগারি ঋষিকেশ দুন এক্সপ্রেসের, হাওড়া-কালকা নেতাজি এক্সপ্রেসের, শিয়ালদহ-আজমের এক্সপ্রেস, হাওড়া-যোধপুর এক্সপ্রেস, হাওড়া-সিএসএমটি মুম্বই এক্সপ্রেস এবং নিউ দিল্লি পূর্ব এক্সপ্রেসের।
