‘ভাসুর গাল দিচ্ছিল আমায়, সেখান থেকেই…’, স্ত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে দাদার হাতে ‘খুন’ ভাই!

Crime: অলকার অভিযোগ, বাড়িতে খাওয়াদাওয়া নিয়ে প্রায়ই সমস্যা হত। শুক্রবার রাতে, পরিবারের বাকি সদস্যদের খাবার দেওয়াকে কেন্দ্র করে অশান্তি শুরু হয়।

'ভাসুর গাল দিচ্ছিল আমায়, সেখান থেকেই...', স্ত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে দাদার হাতে 'খুন' ভাই!
বাঁদিকে ধৃত ছোটেলাল, মাঝে অভিযোগকারী অলোকা, ডানদিকে মৃত শ্যামলাল, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 24, 2021 | 10:04 PM

পুরুলিয়া: পারিবারিক অশান্তির জেরে ভাইকে লাঠি দিয়ে মেরে খুন (Murder) করার অভিযোগ উঠল দাদার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে রঘুনাথপুর থানার প্রতাপপুর গ্রাম। মৃত শ্যামলাল মুর্মূর স্ত্রী অলকা মুর্মূর অভিযোগ, লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধরের জেরেই মৃত্য়ু হয়েছে তাঁর স্বামীর।

অলকার অভিযোগ, বাড়িতে খাওয়াদাওয়া নিয়ে প্রায়ই সমস্যা হত। শুক্রবার রাতে, পরিবারের বাকি সদস্যদের খাবার দেওয়াকে কেন্দ্র করে অশান্তি শুরু হয়। অলকার অভিযোগ, তাঁর ভাসুর অর্থাত্‍ শ্যামলালের দাদা ছোটেলাল অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছিলেন। সেইসময় মদ্য়প অবস্থায় ছিলেন ছোটেলাল বলে অভিযোগ। চিত্‍কার চেঁচামেচি অশান্তির জেরে বাধ্য হয়ে নিজের ঘুমন্ত স্বামীকে ডেকে তোলেন অলকা এবং শ্যামলালকে সেকথা জানান। শ্যামলাল দাদাকে ঘরে ঢুকিয়ে শুইয়ে দিতে যান। অভিযোগ, সেইসময়তেই ঘরে থাকা একটি মোটা লাঠি নিয়ে নিজের ভাইয়ের মাথায় আঘাত (Murder) করেন ছোটেলাল। তারপরেই থামেননি তিনি। অভিযোগ, ওই লাঠি দিয়েই শ্যামলালকে মারধর করেন তিনি। ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে যান শ্যামলাল। তাঁকে রঘুনাথপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিত্‍সকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

মৃতের স্বামী অলকার কথায়, “আমি রাতে খাবার বাড়ছিলাম। সেইসময় আমার ভাসুর মদ খেয়ে এসে আমায় গালিগালাজ করা শুরু করে। আমি তখন আমার স্বামীকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে বলি দাদাকে ঘরে শুইয়ে দিয়ে আসতে। সেই কাল হল। তারপরেই দাদা ওর মাথায় লাঠি দিয়ে মারে। মারধরের চোটে মরে যায়। এখন আমি কোথায় যাব, তাই ভাবছি। আমার তো সব শেষ হয়ে গেল।” জানা গিয়েছে, শ্যামলালের পরিবারের সকলেই কৃষক। চাষের উপরেই নির্ভশীল তাঁরা। অলকা ও শ্যামলালের দুই সন্তান রয়েছে। অভিযুক্ত ছোটেলাল মুর্মূর বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের পরিবার।

পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ছোটেলাল বয়ানে তাঁর ভাইকে খুন (Murder) করার কথা স্বীকার করেছেন। শনিবার, ধৃতকে রঘুনাথপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁর ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। মৃতের দেহ এদিনই ময়নাতদন্তের জন্য পুরুলিয়া সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। পারিবারিক বয়ানের ভিত্তিতে গোটা ঘটনার তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আরও পড়ুন: ‘ছেলেটার জন্য হাত কেটেছিল মেয়ে, তারপর…’ ঝোপ থেকে উদ্ধার কিশোরীর পচা দেহ!