Purulia Hanging Body: হাসপাতালের বাথরুমেই কিনা এই কাণ্ড! রোগীর কীর্তিতে হতবাক কর্মীরাই
Purulia Hanging Body: পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার ভোরে হাসপাতালের তিনতলায় মেডিক্যালের বাথরুমে বুলেট মাহাতো নামের ওই রোগীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে।
পুরুলিয়া: তিন দিন আগে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। বাড়ির লোক দেখাও করতে এসেছিলেন তাঁর সঙ্গে। কিন্তু তারপরও তিনি সেভাবে কারোর সঙ্গে কথা বলছিলেন না। শনিবার রাতেও হাসপাতালের বাথরুমে যান। দীর্ঘক্ষণ না বেরনোয় কর্মীদের সন্দেহ হয়। হাসপাতালের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকতেই আশঙ্কা সত্যি হল। পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক রোগী। মৃতের নাম বুলেট মাহাতো। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে ওই ব্যক্তি আত্মঘাতী হয়েছেন। তাঁর বাড়ি ডাবর বলরামপুরে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার ভোরে হাসপাতালের তিনতলায় মেডিক্যালের বাথরুমে বুলেট মাহাতো নামের ওই রোগীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। দিন দুয়েক আগে হাসপাতলে ভর্তি হয়েছিলেন ওই রোগী। তবে কী কারণে আত্মহত্যা, সেটা জানা যায়নি।
রোগীর পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, শারীরিক অসুস্থতা ছিল। তবে তার থেকেও বেশি সমস্যা ছিল মানসিক। চিকিৎসকরা হাসপাতালে রেখে চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছিলেন। দুদিন আগে হাসপাতালে ভর্তি করে যান পরিবারের সদস্যরা। শনিবার সকালেও ভিজিটিং আওয়ার্সে দেখা করতে গিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা। তখনও তাঁর আচরণ স্বাভাবিক ছিল বলেই জানাচ্ছেন তাঁরা।
পরে হাসপাতাল থেকে ফোন এলে এই খবর জানতে পারেন তাঁরা। হাসপাতাল সূত্রে জানা যাচ্ছে, রাতে বাথরুমে গিয়েছিলেন বুলেট। দীর্ঘক্ষণ বাথরুমের দরজা বন্ধ থাকায়, ডাকাডাকি করতে থাকেন হাসপাতালের কর্মীরা। কিন্তু সাড়া না মেলায়, তাঁরা দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন। তাঁরা দেখেন, গলায় গামছার ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন বুলেট। পরে থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ গিয়ে ওই ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেয়। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ। তবে এক্ষেত্রে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নজরদারির বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।