Bangla Awas Yojana: ‘যতক্ষণ না বাড়ির টাকা পাচ্ছি…’, বলেই পঞ্চায়েত অফিসের সামনে ভয়ঙ্কর কাণ্ড করলেন ব্যক্তি
West Bengal: এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল পুরুলিয়ার ঝালদার মাঠারিখামার গ্রাম পঞ্চায়েতে। ঘটনা প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, এলাকার ফকিরডি গ্রামের বাসিন্দা প্রফুল্ল মাহাতো।
পুরুলিয়া: ফের বাংলা আবাস যোজনার টাকায় জালিয়াতির অভিযোগ। একই নামের এক ব্যক্তি জালিয়াতি করে তুলে নিয়েছেন টাকা। এ দিকে, বারংবার বিষয়টি পঞ্চায়েতে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। সেই কারণে পাওনা টাকার দাবিতে পঞ্চায়েত দফতরের সামনেই ধর্নায় বসে পড়লেন এক ব্যক্তি।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল পুরুলিয়ার ঝালদার মাঠারিখামার গ্রাম পঞ্চায়েতে। ঘটনা প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, এলাকার ফকিরডি গ্রামের বাসিন্দা প্রফুল্ল মাহাতো। বাংলা আবাস যোজনায় একটি বাড়ি পান তিনি। এরপর সতেরোর অর্থবর্ষে তাঁর বাড়ি মঞ্জুর হওয়ার পর সেই মতো টাকা বরাদ্দ হয়।
প্রফুল্ল বাবুর অভিযোগ, তাঁর নাম ও পদবি ব্যবহার করে এক ব্যক্তি প্রকল্পের এই টাকা জালিয়াতি করে তুলে নিয়েছে। মোট এক লক্ষ তিরিশ হাজার টাকা বলেও জানান তিনি। এরপর গ্রাম পঞ্চায়েত সহ প্রশাসনের উচ্চ স্তরে বারে-বারে এই জালিয়াতি নিয়ে অভিযোগ করে প্রতিকার চান তিনি। তবে কোনও লাভ হয়নি।
এরপর সোমবার সকাল থেকেই পঞ্চায়েত দফতরের সামনে ব্যানার প্ল্যাকার্ড নিয়ে ধর্নায় বসে পড়েন তিনি। এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁকে ধর্না থেকে ওঠানো যায়নি বলে খবর। তিনি বলেন, ‘যতক্ষণ না আমার বাড়ির টাকা ফিরে পাচ্ছি ততক্ষণ এই ধর্না চালিয়ে যাব।’
বস্তুত, মাঠারিখামার গ্রাম পঞ্চায়েতটি বর্তমানে সিপিএম দ্বারা পরিচালিত। গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান হেমন্ত মাহাতো বলেন, ‘ঘটনার সময় ফরওয়ার্ড ব্লক ও কংগ্রেসের জোট মিলে পঞ্চায়েত পরিচালনা করত। তাঁরাই ২০১৮ সালে পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় আসেন। সেই সময় বিডিও অফিস থেকে বাংলা আবাস যোজনার বাড়ির রেজিস্ট্রেশন হত। তাই তাঁরা এই প্রসঙ্গে কোনও কিছুই জানেন না। তবুও আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।’
এ প্রসঙ্গে ঝালদা ১ নং ব্লকের জয়েন্ট বিডিও হেমন্ত প্রামাণিক বলেন, ‘পুরো বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ওই ব্যক্তিকে ধর্না থেকে উঠে যাওয়ার জন্য বোঝানো হচ্ছে।’