Municipality By-Election: তপন কান্দুর ওয়ার্ডে উপনির্বাচনে হাত প্রতীকে লড়বেন নিহত কাউন্সিলরেরই ভাইপো
Jhalda: ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন তপন কান্দু। পুরভোটের পর পর দুষ্কৃতীর গুলিতে মৃত্যু হয় তাঁর। বিরোধী দলের কাউন্সিলরের এই মৃত্যু ঘিরে তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি।
পুরুলিয়া: ঝালদার ২ নম্বর ওয়ার্ডে কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর মৃত্যুর পর উপনির্বাচন ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২৬ জুন সেখানে ভোট। উপনির্বাচনে এই ওয়ার্ডে প্রার্থীর নামে চমক রাখল কংগ্রেস। হাত প্রতীকে ২ নম্বর ওয়ার্ডে লড়বেন নিহত তপন কান্দুর ভাইপো মিঠুন কান্দু। প্রার্থী হয়েই মিঠুন জানান, কাকার সমস্ত প্রতিশ্রুতি পালনই তাঁর একমাত্র লক্ষ্য। অর্থাৎ কাকাকে সামনে রেখেই ভোটে লড়তে চান তিনি। এই মিঠুনকে ঘিরেই বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। তপনের পরিবারের অভিযোগ ছিল, এই মিঠুনকে সামনে রেখে তপন কান্দুকে তৃণমূলমুখী করার চেষ্টা করা হয়েছিল। প্রার্থী হিসাবে মিঠুনের নাম ঘোষণার পর এদিন নিহত কাউন্সিলরের স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু শুধু বলেন, দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
শুক্রবার ঝালদায় জেলা কংগ্রেসের বৈঠক ছিল। সেখানেই এই নামে সিলমোহর পড়ে। নিঃসন্দেহে এই ওয়ার্ডে উপনির্বাচন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তবে এই উপনির্বাচনের জেরে পুরবোর্ডে খুব একটা কোনও প্রভাব পড়বে না। কারণ মোট ১২ ওয়ার্ডের ঝালদা পুরসভায় তৃণমূল ভোটে জেতে ৫টি ওয়ার্ড। দুই ওয়ার্ডে জয়ী হন দু’জন নির্দল প্রার্থী। এর মধ্যে একজন আবার তৃণমূলে যোগ দেন। অন্যজন নির্দল হলেও তৃণমূল সমর্থিত। অর্থাৎ হিসাবমতো ৬টি ওয়ার্ড এখন তৃণমূলের। একটিতে রয়েছে নির্দল সমর্থন। অন্যদিতে ভোটে কংগ্রেস ৫টি ওয়ার্ডে জিতেছিল। এরমধ্যে তপন কান্দু মারা যাওয়ায় একটি বাদে এখন ৪টি কংগ্রেসের দখলে।
এই উপনির্বাচন প্রসঙ্গে জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো বলেন, “সর্বসম্মতিক্রমে ২ নম্বর ওয়ার্ডে মিঠুন কান্দুর নাম প্রস্তাবিত হয়েছে। কংগ্রেসের প্রতীকে লড়বেন তিনি। তবে আমাদের একটাই দাবি, এই নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণভাবে হয় তা প্রশাসনকে নিশ্চিত করতে হবে।” অন্যদিকে কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে নাম ঘোষণার পর মিঠুন কান্দু বলেন, “২ নম্বর বাসিন্দাদের বলব, আমার কাকু যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা আমি তা সম্পূর্ণ করতে চাই। সে সুযোগ যেন আপনারা আমাকে দেন। কাকু আমাকেও অনেক কাজের কথা বলেছিল। যা কাকু চলে যাওয়ায় অসম্পূর্ণ থেকে গিয়েছে। আমি সেগুলিই সম্পূর্ণ করার সুযোগ পেতে চাই। তপনকাকুকে তো মেরেছেই ২ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষ যাতে কোনও পরিষেবা না পান, সে কারণে।”
ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন তপন কান্দু। পুরভোটের পর পর দুষ্কৃতীর গুলিতে মৃত্যু হয় তাঁর। বিরোধী দলের কাউন্সিলরের এই মৃত্যু ঘিরে তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। প্রথম থেকেই নিহতের পরিবারের অভিযোগ ছিল পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। সিবিআই তদন্তের দাবি তোলে তারা। কলকাতা হাইকোর্ট সে নির্দেশও দেয়।
এই উপনির্বাচন নিয়ে বাঘমুণ্ডীর তৃণমূল বিধায়ক সুশান্ত মাহাতো বলেন, “যে কারণে এই উপনির্বাচন হচ্ছে, তা কখনওই মেনে নেওয়া যায় না। তবু প্রতিটি পুরএলাকায় জনপ্রতিনিধিও প্রয়োজন। মানুষ এর মাধ্যমে পরিষেবা পেয়ে থাকেন। তবে এই উপনির্বাচন নিয়ে আমি এখনও কোনও দলের তরফে নির্দেশ পাইনি। যেমন নির্দেশ আসবে সেইমতো কাজ করব।”