Malda News: ‘সরকার পাশে দাঁড়াক, নয়ত আত্মহত্যা করতে হবে, আমাদের সব শেষ-শেষ-শেষ’

অতিভারী বৃষ্টিতে ভয়াবহ ক্ষতির মুখে হাজার-হাজার কৃষক। বিঘার পর বিঘা ধানের জমি জলের তলায়। সম্পূর্ণ নষ্ট। এখন পরিপক্ক ধান তোলার সময়। কিন্তু সেই ধান আর তোলার সুযোগ হল না। তার আগেই বৃষ্টিতে সব ফসল নষ্ট। চরম ক্ষতিগ্রস্ত মালদার চাঁচল, হরিশ্চন্দ্রপুর, রতুয়া সহ একাধিক ব্লক।  একই সঙ্গে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হরিশ্চন্দ্রপুরের ভিঙ্গোল গ্রাম পঞ্চায়েত।

Malda News: সরকার পাশে দাঁড়াক, নয়ত আত্মহত্যা করতে হবে, আমাদের সব শেষ-শেষ-শেষ
সব হারানোর অপেক্ষায়Image Credit source: Tv9 Bangla

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Nov 01, 2025 | 6:57 PM

মালদহ: ‘আত্মহত্যা করা ছাড়া কোনও পথ নেই।’ বলতে-বলতে কেউ কান্নায় ভেঙে পড়লেন একজন। কেউ আবার মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়লেন। কেউ রাজ্য সরকারের কাছে হাত জোর করে কাতর আর্তি জানালেন তাঁদের পাশে থাকার জন্যে। আসলে এখন জমির পর জমি জলের তলায়। যত্ন করে লালন করা ধানের গাছ জলের নিচে, শুয়ে পড়েছে। এই বছর আর ঘরে উঠবে না ফসল তা ভালই বুঝে গিয়েছেন কৃষকরা। আকুলপাথারে তাই হাজার হাজার চাষি। বিশেষ করে যাঁরা ঋণগ্রস্ত, তাঁরাই কার্যত মাথায় হাত দিয়ে ধানের জমির মধ্যেই বসে পড়ছেন।

অতিভারী বৃষ্টিতে ভয়াবহ ক্ষতির মুখে হাজার-হাজার কৃষক। বিঘার পর বিঘা ধানের জমি জলের তলায়। সম্পূর্ণ নষ্ট। এখন পরিপক্ক ধান তোলার সময়। কিন্তু সেই ধান আর তোলার সুযোগ হল না। তার আগেই বৃষ্টিতে সব ফসল নষ্ট। চরম ক্ষতিগ্রস্ত মালদার চাঁচল, হরিশ্চন্দ্রপুর, রতুয়া সহ একাধিক ব্লক।  একই সঙ্গে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হরিশ্চন্দ্রপুরের ভিঙ্গোল গ্রাম পঞ্চায়েত। ব্যাপক ক্ষতি সব চাষিরা। বৃষ্টির জন্যে এবছর আর ঘরে ফসল তুলতে পারবেন না তাঁরা। ঘরে অন্ন কীভাবে জুটবে সেই চিন্তায় মাথায় হাত।

শুধু তাই নয়, সব চাষি ধান রোপণ সহ চাষের কাজে মোটা টাকা বিনিয়োগ করেছেন সব টাকাই জলে। বহু চাষি মোটা টাকা ঋণ করেই চাষ করেছেন, সেই ঋণের টাকা কী করে শোধ করবেন। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন চাষিরা। হাত জোর করে রাজ্য সরকারের কাছে কাতর আবেদন করেছেন তাঁদের সাহায্যের জন্যে। চাষিদের ঘরে ঘরে হাহাকার। তাঁরা বলছেন মৃত্যু ছাড়া আর কোনও পথ খোলা নেই।

এক কৃষক বলেন,”কী অবস্থা হয়েছে দেখুন। এই ফসল থেকে ধান হবে? কী করে খাব? বাচ্চাদের কী করে খাব। ঝড়ে সব ধান শেষ। আমার চার বিঘা ধান নষ্ট হয়েছে। সকলের কম বেশি ক্ষতি হয়েছে। ধানের উপর জল থাকলে আর জল হবে? ধার করে ধান চাষ করেছিলাম। চাইছি সরকার যেন পাশে দাঁড়ায়। নয়ত আত্মহত্যা করতে হবে। সব শেষ -শেষ-শেষ।”