সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করতে নেমে প্রাণ গেল দুই যুবকের

সেপটিক ট্যাঙ্কের (Septic Tank) ভিতরে জমে থাকা নোংরা আবর্জনায় তৈরি বিষাক্ত গ্যাসে দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশের অনুমান

সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করতে নেমে প্রাণ গেল দুই যুবকের
নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: May 14, 2021 | 7:34 PM

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সেপ্টিক ট্যাঙ্ক (Septic Tank) পরিষ্কার করতে নেমে মৃত্যু হল দুই যুবকের। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ রায়দিঘির কুমড়োপাড়া এলাকায় এক ব্যক্তির বাড়ির সেপটিক ট‍্যাঙ্ক পরিষ্কার করতে নামেন তিন যুবক। এরপরই বিষাক্ত গ্যাসে দু’জনের মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। তৃতীয়জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রায়দিঘি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বাড়ির মালিক সুরজিৎ হালদারকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার দুপুরে খাওয়াদাওয়ার পর পুতুল মুণ্ডা, মহাদেব মুণ্ডা, সুরঞ্জন চৌধুরী ও মিঠুন নামে চার যুবক কুমড়োপাড়ায় সুরজিৎ হালদারের বাড়িতে যান। সেখানে সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করার কথা ছিল তাঁদের। পুতুল, মহাদেব ও মিঠুন সেপটিক ট্যাঙ্কের ঢাকনা খুলে ভিতরে ঢুকলেও বাইরেই দাঁড়িয়ে ছিলেন সুরঞ্জন।

আরও পড়ুন: ছোট্ট ডিসপোজাল ব্যাগে মুড়ে শ্মশানে এল দেহ, ঠিক একটা পুতুল! করোনা কাড়ল ৫ মাসের পরীকে

বেশ কিছুক্ষণ সময় কেটে যাওয়ার পরও তিনজনের কোনও সাড়া না পেয়ে সুরঞ্জনের সন্দেহ হয়। চিৎকার চেঁচামেচি করে স্থানীয়দের ডেকে আনেন। সকলের সাহায্যে সুরঞ্জন দড়ি বেয়ে সেপটিক ট্যাঙ্কে নেমে দেখেন তিন বন্ধু অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। তড়িঘড়ি তাঁদের রায়দিঘি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে পুতুল (২৫) ও মহাদেব (২৫)কে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। পরে সুমনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে স্থানান্তরিত করা ডায়মন্ড হারবার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

সেপটিক ট্যাঙ্কের ভিতরে জমে থাকা নোংরা আবর্জনায় তৈরি বিষাক্ত গ্যাসে দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশের অনুমান। তবে পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। কথা বলছেন সুরজিৎ হালদারের সঙ্গেও।