নরেন্দ্রপুর: কয়েকদিন আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Pargana) জেলার উস্তি থানা এলাকায় CBI অফিসার সেজে তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছিল যুবকের বিরুদ্ধে। ভুয়ো শংসাপত্র, নকল সিবিআইয়ের (CBI) পরিচয়পত্র দেখিয়ে চলত তোলাবাজির কাজ। এবার বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের (Bidhannagar Police Commissionerate) অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠল। যা নিয়ে প্রশাসনিক মহলে নতুন করে শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য।
ঘটনাটি ঘটেছে নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার মহামায়তলায়। অভিযোগ, পুলিশ পরিচয় দিয়ে এখানেই বাড়ি ভাড়া নেন ডালিম দত্ত নামে এক ব্যাক্তি। ধীরে ধীরে এলাকার মানুষদের সঙ্গে ভাবও জমান। সকলের কাছেই নিজেকে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পরিচয় দেন। পুলিশি সাহায্য ও নানারকম সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে একাধিক জনের কাছে টাকাও নেন। অভিযোগ, ওই ব্যক্তি এতদিন যে বাড়িতে ভাড়া থাকতেন তার ভাড়াও মেটাননি। একাধিকবার ভাড়া চাওয়া হলেও তাতে তিনি বিশেষ কর্ণপাত করেননি। পরবর্তীতে সেখান থেকে পালিয়ে যান বলে জানা যায়।
সূত্রের খবর, ডালিম দত্ত নামে ওই ব্যক্তি একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা ধার নিয়েছেন বলে অভিযোগ। মহামায়াতলার বাসিন্দা প্রদীপ করের কাছ থেকেও ৩৭ হাজার টাকা নেন। ইতিমধ্যেই তিনি নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। তারপর থেকেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনা প্রসঙ্গে প্রদীপ কর বলেন, “ডালিম দত্ত বলে একজন আমার পাশের ফ্ল্য়াটে এসেছিল। চার-পাঁচ মাস ছিল। কিন্তু বাড়ির মালিকের টাকা না দেওয়ায় শেষে ঝামেলা করে ঘর ছেড়ে চলে যায়। ঘরে তালাও দিয়ে চলে গিয়েছিল। শেষে মালিক তালা ভেঙে ঘরে ঢোকেন। আমার থেকে টাকা নিয়েছিল। ৩৭ হাজার টাকা নেয় আমার কাছ থেকে। বলে ফেঁসে গিয়েছি। শীঘ্রই ফেরত দিয়ে দেব। কিন্তু ফেরত দেওয়ার নাম করে দীর্ঘদিন থেকে ঘোরাচ্ছিল। শেষে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের যে ঠিকানা দিয়েছিল সেখানে গিয়েছিলাম। ওখানেই ও অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদে কর্মরত ছিল বলে জানিয়েছিল। আমি পুলিশে অভিযোগ করেছি। আমি আমার টাকা ফেরত চাই। এছাড়া ও অনেককেই পুলিশি চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তুলেছিল।”