অঙ্ক করানোর নাম করে ফাঁকা বাড়িতে দিনের পর দিন ধর্ষণ, ঘটনা সামনে আসতেই চড়াই প্রতিবেশীরা

এলাকার বাসিন্দারা অভিযুক্ত বাবলুকে মারধর করে বলেও অভিযোগ।

অঙ্ক করানোর নাম করে ফাঁকা বাড়িতে দিনের পর দিন ধর্ষণ, ঘটনা সামনে আসতেই চড়াই প্রতিবেশীরা
প্রতীকী চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 01, 2021 | 12:18 PM

বারুইপুর: অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে দিনের পর দিন ধর্ষণের অভিযোগ। ভয় দেখিয়ে দিনের পর দিন চলত সেই কুকর্ম। কিন্তু ওই ছাত্রী গর্ভবর্তী হয়ে পড়লে বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে আসে। আর এরপরেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনায় অভিযুক্ত বাবলুকে ঘিরে চলে বিক্ষোভ। শুধু তাই নয়, উত্তেজিত এলাকার মানুষ অভিযুক্ত বাবলুকে ইলেকট্রিক পোস্টের সঙ্গে বেঁধে বেধড়ক মারধর করে বলেও অভিযোগ। ঘটনার খবর যায় বারুইপুর থানায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী।

উত্তেজিত জনতার হাত থেকে অভিযুক্ত বাবুলকে উদ্ধার করা হয় এবং পরে গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনার পর শনিবার রাতে বারুইপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতার পরিবার। ঘটনার পর কার্যত ভেঙে পড়েছে নির্যাতিতা ওই অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। অন্যদিকে, অভিযুক্ত বাবলু ঢালীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা রয়েছে এলাকায়।

স্থানীয় সূত্রে খবর, অভিযুক্ত বাবলু ঢালি পেশায় একজন গাড়ি চালক। তাঁর নিজের এক মেয়েও আছে। সে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী বলে জানা গিয়েছে। অভিযোগ,  পড়ানোর নাম করে অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে ডেকে আনত বাবুল। ফাঁকা বাড়ি পেলেই ওই ছাত্রীকে ডেকে আনত সে। ফাঁকা বাড়িতে চলত ধর্ষণ। আর তা দিনের পর দিন। নির্যাতিতা ওই কিশোরী জানিয়েছে, ছলে বলে কৌশলে কখনও অঙ্ক, কখনও আঁকা শেখানোর নাম করে তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যেত বাবলু ঢালী।

অভিযোগ, বাবলু নির্যাতিতা ওই তরুণীকে কাউকে কিছু না বলার জন্যে ভয়ও দেখায়। শুধু তাই নয়, কেউ জানতে পারলে তাঁর ছোট বোনকে খুন করবে বলেও হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। আর সেই ভয়ে কাউকে কিছু না বলে দিনের পর দিন বাবলুর অত্যাচার সহ্য করত কিশোরী। কিন্তু এই ঘটনা ঘটার পরে নির্যাতিতা ছাত্রী গর্ভবতী হয়ে পড়ে। বিষয়টি সামনে আসার পরই উত্তেজিত জনতা চড়াও হয় অভিযুক্ত বাবলুর বাড়িতে। আর তাঁকে বের করে এনে বেধড়ক মারধর করা হয়। তার স্ত্রী ও সন্তান বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। আরও পড়ুন: ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় হতাশা প্রকাশ খুব একটা ভালো দেখায় না’, গভীর রাতে ফোন নাড্ডার!